সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫

তাজহাট জমিদার বাড়ি।

তাজহাট জমিদার বাড়ি




রংপুর শহরের তাজহাট জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম স্মারক। শহরের কাছেই ইতিহাস বিজড়িত সংগ্রহশালার ঐতিহাসিক প্রাসাদটি যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

রংপুর রেলস্টেশন থেকে রিকশা কিংবা অটোবাইকে চড়ে খুবই অল্প সময়ে পৌঁছানো যায় তাজহাট জমিদার বাড়িতে।

শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ জমিদার বাড়িটি ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ হিসবে ব্যবহৃত হয়। 

২৪ কামরা বিশিষ্ট মার্বেল পাথর বসানো ফ্লোর বেশ নজর কাড়া। আর আশপাশের গাছ-গাছালি, পুকুর ও ফুলের বাগান বাড়িটিকে আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে ত‍ুলেছে। 

১৯৯৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর ইমারতটিকে পুরাকীর্তি ঘোষণা করে। ২০০২ সালে এটাকে রংপুর জাদুঘরে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে অনুপম এ প্রাসাদটি আর ইতিহাসের অংশগুলো দেখে আসতে পারেন আপনিও। 

সম্মুখভাগে প্রধান প্রাসাদটির দ্বিতীয়তলায় ওঠা-নামার জন্য একটি বিরাট গ্যালারির মতো চমৎকার সিঁড়ি রয়েছে। নিচ তলায় আছে এর কার্যালয়। 

যা যা দেখবেন
প্রাসাদে সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন হস্তলিপি, পুরনো পত্রিকা, শিবপত্নী পার্বতীর মূর্তি, মাটির পাত্র, বিভিন্ন পোড়ামাটির ফলক, আগেকার রাজা-বাদশাহদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, মৃৎপাত্র, প্রজা বিদ্রোহের নেত্রী সরলা দেবীর ব্যবহৃত সেগুন কাঠের তৈরি বাক্স, মঙ্গলকোট/সীতাকোট (বগুড়া), মহাস্থানগড় থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন পোড়ামাটির ফলক। 

এছাড়াও রয়েছে নারী ম‍ূর্তি, লোহার দ্রব্যাদি, সাঁওতালদের ব্যবহৃত তীর, লাল পাথরের টুকরো, পাহাড়পুর বিহার থেকে সংগৃহীত নারী ম‍ূর্তি, পাথরের নোড়া, বদনা, আক্রমণাত্মক  যোদ্ধার ম‍ূর্তি।  



সাহিত্য পরিষদ রংপুরের সরবরাহ করা হাতের লেখা মহাভারত, রামায়ণ, চৈতন্য চরিতামৃত, শান্তি শতক, গাছের বাঁকলে লেখা সংস্কৃত হস্তলিপি, বেগম রোকেয়ার স্বহস্তে লেখা চিঠি, তুলট কাগজে লেখা হস্তলিপি, সম্রাট আওরঙ্গজেব কবি শেখ সাদী ও বাদশাহ নাসির উদ্দিনের স্বহস্তে লেখা কোরআন শরিফ, ছোট্ট কোরআন শরিফও রয়েছে।

এখানে এলে একদিন ভালোভাবেই কাটবে। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে আসুন রংপুর শহরে অথবা রেল স্টেশনে। তারপর রিকশা/অটোবাইকে চড়ে তাজহাটে। রংপুর শহরে থাকা-খাওয়ার জন্য বিভিন্ন মান ও দামের হোটেল রয়েছে। 





কাজেই সময় করে ঘুরে আসুন ভালো লাগবে।