ছুটি কাটান রিসোর্টে
শহরের কোলাহল ছেড়ে, আরামে কয়েকটা দিন কাটাতে, বেড়িয়ে আসতে পারেন, পরিবার পরিজন নিয়ে।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে নির্জনে নিভৃতে দু-চারটি দিন কাটানোর জন্য রিসোর্ট মন্দ নয়। এসব জায়গায় ঈদের ছুটিও কাটিয়ে আসতে পারেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নানান ধরনের রিসোর্ট আছে। এ রকম কিছু রিসোর্ট নিয়েই এই আয়োজন।
যমুনা রিসোর্ট।
টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় উনিশ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে আধুনিক সুবিধাসম্বলিত যমুনা রিসোর্ট। প্রায় ১২০০ বিঘা জায়গাজুড়ে এখানে আছে ১১০টি কটেজ। এছাড়াও বনভোজন কেন্দ্র, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ, সভাকক্ষ, রেস্তোরাঁসহ নানান সুবিধা। আরও আছে যমুনা নদীতে নৌ বিহারের ব্যবস্থা। এছাড়া রিসোর্টের ভেতরে আছে একটি বন্যপ্রাণী জাদুঘর। যমুনা রিসোর্ট।
এলেঙ্গা রিসোর্ট।
টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই এ রিসোর্টটির অবস্থান। প্রায় ১৫৬ হেক্টর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ রিসোর্টে কটেজ, বনভোজন কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ সবকিছুই আছে।এলেঙ্গা রিসোর্ট।
রয়েল রিসোর্ট ।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে আবস্থিত জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরীরর প্রায় ৩শ’ বছরের পুরনো বাড়িটি রিসোর্টে রূপ দেওয়া হয়েছে। জমিদারি আমলের আলিশান সব আসবাবপত্রে সাজানো আছে এ বাড়ির কক্ষগুলো। যোগাযোগ : ০২-৯১৩০৯০০।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট।
শিল্পীদম্পতি তৌকির-বিপাশা গাজীপুরের শ্রীপুরে গড়ে তুলেছেন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। শালবনের পাশে প্রায় দশবিঘা জায়গাজুড়ে আধুনিক এ রিসোর্টে বেশ কয়েকটি কটেজ ছাড়াও আছে দিঘি, কৃত্রিম ঝরনা, সভাকক্ষ, সুইমিংপুলসহ নানান সুবিধা। নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট ।
পদ্মা রিসোর্ট ।
ঢাকার কাছাকাছি দূরত্বে পদ্মার তীরে সুন্দর এ রির্সোট। মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার পদ্মানদীর চরে এটি তৈরি করা হয়েছে। কাঠের তৈরি ১৬টি কটেজে এখানে আছে পঁচিশটি কক্ষ। একটি রেস্তোরাঁও আছে।পদ্মা রিসোর্ট।
অরুণিমা রিসোর্ট ।
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পানিপাড়ায় প্রায় ৫০ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত অরুণিমা রিসোর্ট। অরণ্যঘেরা এ রিসোর্টে আছে বেশ কিছু আধুনিক মানের ঘর, লেক, পুকুর, ফুলবাগান, প্রজাপতি পার্ক, চিড়িয়াখানা, গলফ মাঠসহ নানান আয়োজন। অরুণিমা রিসোর্ট।
টি রিসোর্ট, শ্রীমঙ্গল ।
শ্রীমঙ্গল শহর ছেড়ে কমলগঞ্জ যেতে ভানুগাছা সড়কে অবস্থিত এটি। রিসোর্ট থেকে বেরুলেই সামনে বিস্তৃত চা-বাগান। টিলার উপরে আছে বেশ কয়েকটি চা-কটেজ। একেকটি কটেজে ২-৩টি কক্ষ। এছাড়াও আছে সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি। যোগাযোগ : ০৮৬২৬-৭১২০৭।
নাজিমগড় রিসোর্ট,সিলেট।
সিলেটের খাদিমনগরে অত্যাধুনিক রিসোর্ট নাজিমগড়। প্রায় ৬ একর সবুজ চত্বরের মাঝে এ রিসোর্টে আছে ছোট ও বড়দের জন্য পৃথক সুইমিং পুল, স্পা, স্টিম বাথ, জ্যাকুজিসহ নানান সুবিধা। আধুনিক একটি রেস্তোরাঁও আছে এ রিসোর্টে। জাফলংয়ের কাছাকাছি লালাখালে নাজিমগড়ের আরেকটি রিসোর্ট আছে। এ জায়গাটিও চমৎকার।নাজিমগড় রিসোর্ট।
জেসটেট রিসোর্ট,সিলেট।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত জেসটেট হলিডে রিসোর্ট। বিশাল এলাকাজুড়ে এ রিসোর্টে বেশ কিছু আধুনিক কক্ষ ছাড়াও আছে নানান সুবিধা। যোগাযোগ : ০৮২১-২৮৭০০৪০।
সিলেটের খাদিমনগরের উদ্দীনের টিলায় প্রায় ৭ একর জায়গা জুড়ে আছে শুকতারা প্রকৃতি নিবাস। রিসোর্টের পাশেই আছে খাদিম আর বরজানের চা-বাগান। পাহাড়ের উপর এ রিসোর্টে আছে কয়েকটি আধুনিক মানের ইকো কটেজ, উন্নত রেস্তোরাঁ ইত্যাদি। শুকতারা প্রকৃতি নিবাস।
টুক টুক ইকো রিসোর্ট ।
রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের মাঝে পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা রিসোর্ট টুক টুক। বেশ কয়েকটি কটেজ আছে এখানে। রাঙামাটি শহর থেকে কাপ্তাই লেকে আধা ঘন্টার মতো নৌ ভ্রমণ করে যেতে হবে রিসোর্টে। এখানকার রেস্তোরাঁয় মিলবে নানান স্বাদের পাহাড়ি খাবার। রিসোর্ট থেকে সুভলং ঝরনা দেখতে যাওয়ারও ব্যবস্থা আছে।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।
-- আমাদের এই দেশকে জানুন , অপরকে জানান।
---আরিফ১৯৭৬।
অসাধারণ! ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন