বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

সাগরকন্যা কুয়াকাটা ।






একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার জন্য কুয়াকাটার মত জায়গা এদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই।  বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে সাগরকন্যা খ্যাত অপরূপ সৌন্দর্যের জায়গা কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়নে অবস্থিত এ জায়গায় আছে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত। অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কুয়াকাটায় আছে বেড়ানোর মতো আরও নানান আকর্ষণ। আসুন জেনে নেই কুয়াকাটা সম্পর্কে কিছু তথ্য:
ক্রাব আইল্যান্ড
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বদিকে গঙ্গামতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরও সামনে গেল আছে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে ঘুরে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।
অপূর্ব সমুদ্র সৈকত
কুয়াকাটার বেলাভূমি বেশ পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এ বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।
ফাতরার বন
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। সুন্দরবনের সব বৈশিষ্ট এ বনে থাকলেও নেই তেমন কোন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মেলে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিন নৌকায়।
কুয়াকাটার কুয়া
কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে। তবে কয়েক বছর আগে অদূরদর্শী ও কুরুচিকর সংস্কারের ফলে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ার অবস্থান।
জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি
দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তার এখানে একটি কূপ খণন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি কুয়াকাটা নামে পরিচিতি পায়।সীমা বৌদ্ধ মন্দির কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কাঠের তৈরি এই মন্দির কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের মধ্যে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।
শুঁটকি পল্লী
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে।
গঙ্গামতির জঙ্গল
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে আছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত আছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।
কেরানিপাড়া
সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রাখানদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুণন। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক পথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হল ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী, সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী যায় এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চ। ভাড়া প্রথম শ্রেণীর একক কেবিন ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বৈত কেবিন ১ হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
কুয়াকাটা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার বাস সার্ভিস আছে। এছাড়া ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহনের বাস যায় কুয়াকাটা। ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। এছাড়া কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকেও প্রতিদিন সকাল ও রাতে কুয়াকাটার বাস ছাড়ে।  



ভ্রমণের আমন্ত্রণ রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে। 

সাগরকন্যা কুয়াকাটা ।






একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার জন্য কুয়াকাটার মত জায়গা এদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই।  বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে সাগরকন্যা খ্যাত অপরূপ সৌন্দর্যের জায়গা কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়নে অবস্থিত এ জায়গায় আছে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত। অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কুয়াকাটায় আছে বেড়ানোর মতো আরও নানান আকর্ষণ। আসুন জেনে নেই কুয়াকাটা সম্পর্কে কিছু তথ্য:
ক্রাব আইল্যান্ড
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বদিকে গঙ্গামতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরও সামনে গেল আছে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে ঘুরে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।
অপূর্ব সমুদ্র সৈকত
কুয়াকাটার বেলাভূমি বেশ পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এ বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।
ফাতরার বন
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। সুন্দরবনের সব বৈশিষ্ট এ বনে থাকলেও নেই তেমন কোন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মেলে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিন নৌকায়।
কুয়াকাটার কুয়া
কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে। তবে কয়েক বছর আগে অদূরদর্শী ও কুরুচিকর সংস্কারের ফলে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ার অবস্থান।
জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি
দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তার এখানে একটি কূপ খণন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি কুয়াকাটা নামে পরিচিতি পায়।সীমা বৌদ্ধ মন্দির কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কাঠের তৈরি এই মন্দির কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের মধ্যে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।
শুঁটকি পল্লী
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে।
গঙ্গামতির জঙ্গল
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে আছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত আছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।
কেরানিপাড়া
সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রাখানদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুণন। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক পথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হল ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী, সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী যায় এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চ। ভাড়া প্রথম শ্রেণীর একক কেবিন ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বৈত কেবিন ১ হাজার ৮শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
কুয়াকাটা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার বাস সার্ভিস আছে। এছাড়া ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহনের বাস যায় কুয়াকাটা। ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। এছাড়া কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকেও প্রতিদিন সকাল ও রাতে কুয়াকাটার বাস ছাড়ে।  



ভ্রমণের আমন্ত্রণ রইলো। ধন্যবাদ সবাইকে। 

প্রকৃতির লীলাভূমি পর্যটন নগরী ‘শ্রীমঙ্গল’।








মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা দেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত পর্যটন এলাকা বলে অবিহিত,দেশী বিদেশীদের কাছে রয়েছে আলাদা কদর।
শ্রীমঙ্গলের আর্কষনীয় স্থান গুলোঃ
চা বাগানঃ- চা বাগান মানেই সবুজের অবারিত সৌন্দর্য। পূরো শ্রীমঙ্গল শহরটা ঘিরে রয়েছে শুধু চায়ের বাগান। শ্রীমঙ্গল নাম শুনলেই প্রথমেই স্বরন হবে চা বাগানের কথা। এ দেশে চায়ের রাজধানী’র কথা বললেই প্রথমে মনে পড়বে শ্রীমঙ্গলের নাম। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে যে কোন সড়ক ধরে হাটাপথ দুরত্বে পৌছা মাত্র চোখে পড়বে মাইলের পর মাইল পাহাড় ঘেরা চা বাগান। সবুজের মেলা চা বাগানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে অতি অবশ্যই বাগান কতৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ইচ্ছে করলে কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এসব চা বাগানের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় প্রবেশ করে কাচাঁ চা পাতা থেকে চা তৈরীর প্রক্রিয়াও দেখা যেতে পারেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানঃ-  দৃষ্টিজুড়ে সবুজ, উটের পিঠের মতোন টিলা আর মনোরম চা বাগান-যে কোন স্থান ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে মেলে ধরবার জন্য যথেষ্ট। আরও যা রয়েছে তা হচ্ছে লাউয়াছড়া বন যা এক কথায় অনবদ্য। রেইন ফরেষ্ট হিসেবে খ্যাত এই বনে রয়েছে হরেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী আর বৃক্ষাদি। রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির বৃক্ষরাজি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
শ্রীমঙ্গল হতে মাত্র ১০ কিঃমিঃ আর ঢাকা থেকে ১৯৬ কিঃমিঃ। এর আয়তন ১২৫০ হেক্টর। মোট ১৬টি উল্লুক পরিবার হাজারো পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভারত, চায়না, মায়ানমার এবং বাংলাদেশসহ ৪টি দেশে ওদের প্রজাতি সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গা ঘেষা রয়েছে ৩টি আদিবাসী পল্লী। ( মাগুরছড়াও লাউয়াছড়া) ও ১টি ত্রিপুরাদের পাড়া। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা সাধারণত পাহাড়ী কৃষ্টি কালচারের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে যা সাধারনের থেকে অনেক আলাদা। আদিবাসিদের জীবনযাত্রা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ইত্যাদি দেখাও পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওনা।
যেভাবে যাবেন ; ঢাকা / সিলেট থেকে বাস কিংবা ট্রেন এ করে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে । শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সিএন জি চালিত অটো রিকসা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে অতি সহজেই ৮/১২ মিনিটের মধ্যে পৌছে যেতে পারবেন লাউয়াছড়ায় । ভাড়া- ২০-৩০ টাকা।
বিটিআরআইঃ- বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষনীয় স্থান। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বিটিআরআই কমপ্লেক্স-এর সামনে অপরূপ ফুলকুঞ্জ, শত বছরের চা গাছ, চা পরীক্ষাগার, চারদিকে চা বাগান, চা নার্সারী, চা ফ্যাক্টরী, অফিসার্স ক্লাব ভবনের পেছনে অবস্থিত চোখ ধাঁধানো লেক, রোবাস্টা কফি গাছ, নানা জাতের অর্কিডসহ ভেষজ বাগান আপনার মনকে চাঙ্গা করবেই। কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন বিটিআরআই’র পুরো ক্যাম্পাস। প্রতিদিন বিকেলে ও সরকারি ছুটির দিনে পর্যটকদের ঢল নামে বিটিআরআই-তে।
যেভাবে যাবেন-ঢাকা / সিলেট থেকে বাস কিংবা ট্রেন এ করে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিকসা যোগে আপনাকে যেতে হবে বিটিআরআই তে । ভাড়া-২০-৩০ টাকা ।
বধ্যভূমি ৭১:- শ্রীমঙ্গলের ‘বধ্যভূমি ৭১’ আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত বধ্যভূমিতে ২০১০ সালে স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণের পর দর্শনার্থীরা এখানেউপচে পড়ে। এছাড়াও প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন বধ্যভূমি দেখতে। শ্রীমঙ্গলে শহরের ভানুগাছ সড়কে বিজিবি’র সেক্টর হেড কোর্য়াটার সংলগ্ন বটকুঞ্জের নিচ দিয়ে প্রবাহিত ভুরভুরিয়া ছড়ার পাশে এর অবস্থান। সম্প্রতি এখানে পর্যটকদের সুবিধার্থে নির্মিত হয়েছে ‘সীমান্ত ৭১ ফ্রেশ কর্নার’সহ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’। ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের পর দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ব ও একাত্তরের স্মৃতি বিজরিত বধ্যভূমিটি দেখতে মানুষ আসতে থাকেন এখানে। বর্তমানে এ স্থানটি এখন আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
কিভাবে যাবেনঃ শ্রীমঙ্গল থেকে ৫-৭ মিনিটের পথ। ইচ্ছে করলে প্রকৃতির হাওয়ার সাথে হেটে হেটে যেতেপারেন। এছাড়াও অটো রিক্সা বা প্রাইভেট গাড়িতে যেতে পাড়েন।
ডিনস্টন সিমেট্রি:-শ্রীমঙ্গলে আর্কশনীয় একটি স্থান হচ্ছে শতবছর পুরানো ডিনস্টন সিমেট্রি। এ সিমেট্রি দেখতে প্রচুর পর্যটক আসে এখানে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিঃমিঃ দূরে রাজঘাট ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত খেজুরীছড়ায় ফিনলে টি কোম্পানির চা বাগানে এটি অবস্তিত। ১৮৮০ সালে ব্রিটিশরা শ্রীমঙ্গলে এসে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ আরম্ভ করে। এখানে কাজ করতে এসে বিভিন্ন সময় যেসব ব্রিটিশ নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন তাদের সমাহিত করা হয় খেজুরীছড়ার এই ডিনস্টন সিমেট্রিতে। চা বাগানের মাঝে গড়ে তোলা অসাধারণ সাজানো-গোছানো এই সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ৪৬ জন বিদেশী নাগরিক। যাদের ৪১জনের নাম ও পদবী এখানে খোদাই করা আছে ।
মনিপুরী পাড়াঃ- শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায় এখনো ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়াসে বেশ কটি তাঁতে তৈরী হচ্ছে শাড়ি, থ্রি-পিস, ওড়না, ব্যাগসহ নানা ধরনের পণ্য। তাঁত শিল্প সম্পর্কে জানতে এবং তাঁতে কাপড় বুনার প্রক্রিয়া দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায়। মনিপুরীদের আতিথেয়তা গ্রহন করতে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিক্সাযোগে সহজেই যেতে পারেন মনিপুরী পাড়াতে। তবে বাংলা সনের কার্তিক মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে মনিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব রাসোৎসব দেখতে চাইলে যেতে পারেন কমলগঞ্জের মাধবপুরস্থ জোড়ামন্ডপ অথবা আদমপুরস্থ মনিপুরী শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে।
যেভাবে যাবেন- ঢাকা / সিলেট থেকে বাস কিংবা ট্রেন এ করে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে । সেখান থেকে সিএনজি কিংবা রিক্শা যোগে আপনাকে যেতে রামনগর মনিপুরি পাড়ায় । শহর থেকে মনিপুরি পল্লীতে যেতে ভাড়া লাগবে ২০-৩০ টাকা।  




শীতকাল ভ্রমণের সময়। ঘুরে আসুন শ্রীমঙ্গল। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ সবাইকে। 

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

লালবাগ কেল্লায় খোলা আকাশের হাতছানি।


লালবাগ কেল্লায় ভ্রমণ।




রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে মোঘল আমলে স্থাপিত প্রাচীন দুর্গ হলো লালবাগের কেল্লা। যা পুরান ঢাকার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন।
লালবাগ কেল্লা মোগল আমলের বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন। যেখানে একইসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টি পাথর, মার্বেল পাথরসহ নানান রঙ-বেরঙের টালি। লালবাগ কেল্লা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ঐতিহাসিক নিদর্শনে এমন বৈচিত্র্যময় সংমিশ্রণ পাওয়া যায়নি।

লালবাগ কেল্লার ইতিহাস

এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত। আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে ‘লালবাগের কেল্লা’। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ।

লালবাগের কেল্লার নকশা করেন শাহ আজম। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব-এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। ফলে একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।
নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এ দুর্গ অপয়া মনে করা হয় এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
পরী বিবিকে দরবার হল এবং মসজিদের ঠিক মাঝখানে সমাহিত করা হয়। শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন। ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে। ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করে।
প্রথমে এর নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। পরে লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয়। অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
স্থাপনা

লালবাগের কেল্লায় স্থাপনার মধ্যে পরী বিবির সমাধি উল্লেখযোগ্য। এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন। প্রশস্ত এলাকা নিয়ে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-
কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা, পরী বিবির সমাধি, উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাংশে সুদৃশ্য ফটক এবং দক্ষিণ দেয়ালের ছাদের উপরে বাগান রয়েছে।
সময়সূচি

গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রোববার পূর্ণ দিবস, সোমবার অর্ধদিবস কেল্লা বন্ধ থাকে। এছাড়া সব সরকারি ছুটির দিন লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।
প্রবেশ মূল্য

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০, সার্কভূক্ত দেশের পর্যটকদের জন্য ১০০, বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা। এছাড়া মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা।
এদিকে, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড (বিটিসিএল) যৌথভাবে লালবাগ কেল্লায় ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালু করছে। এখানে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে দর্শনার্থীদের কোনো পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হবে না।   




ধন্যবাদ, ব্লগ ভিজিটের জন্যে। 


সংগ্রাম পুঞ্জি মায়াবী ঝর্ণা ।

সংগ্রাম পুঞ্জি মায়াবী ঝর্ণা , সিলেট।  





মেঘালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা পানির স্রোতধারা , আর দিগন্ত বিস্তৃত চারণ ভূমি দেখতে পাবেন সেখানে । ঝর্ণার নিচে অল্প পানি থাকায় দুর্ঘটনার ঘটার আশংকা খুব কম । সেখানে আপনি পাহাড় বেয়ে আসা ঝর্ণার শীতল পানিতে গোসল করেও নিতে পারেন । জায়গাটা প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেট জেলার, গোয়াইনঘাট উপজেলায় । প্রকৃতি কন্যা জাফলং এর কাছেই হাতছানি দিয়ে প্রকৃতি প্রেমীদেরকে ডাকছে মায়াবী ঝর্ণা । ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা পাহাড়ের নিচে এই অপরূপ মায়াবী ঝর্ণা‍ ।

সিলেট থেকে কিভাবে যাবেন – সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পয়েন্ট থেকে থেকে সিএনজি অটোরিকশা বা মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে, বা জাফলং এর সিলেট কদমতলি টার্মিনাল হতে বাসে চেপে জাফলং বল্লাঘাট যাবেন । আর সেখান থেকে নৌকায় পিয়াইন নদী পাড় হয়ে খাসিয়া পুঞ্জি থেকে রিক্সা বা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্টলিতে করে সংগ্রাম পুঞ্জির অপর প্রান্তে নামলেই মেঘালয় পাহাড় দেখতে পাবেন । সেখান থেকে পায়ে হেটে আধা কিলোমিটার হাটলেই শুনতে পাবেন ঝর্ণার গর্জন, দেখতে পাবেন মায়াবী ঝর্ণার হাতছানি। অথবা জাফলং বল্লাঘাট থেকে টুরিষ্ট নৌকা করে যেতে পারেন । ইতিমধ্যে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন এই ঝর্ণায় ।  সময় করে স্বপরিবারে ঘুরে আসুন এই নতুন ঝর্ণা‍ হতে। 




ধন্যবাদ , ব্লগ ভিজিটের জন্যে।  


শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

ড্রিম হলিডে পার্ক‍ , নরসিংদী।

ড্রিম হলিডে পার্ক‍ , নরসিংদী। 

রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদী জেলায় গড়ে উঠেছে বিশ্বমানের থিম পার্ক ‘ড্রিম হলিডে’। সদর উপজেলার পাঁচদোনা চৈতাব এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে এই পার্কটি অবস্থিত। ২০১১ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি চালু করা হয়। ছোট-বড় সবার জন্যই রয়েছে আলাদা সব রাইড।

৬০ একর জমির ওপর নির্মিত এ পার্কে রয়েছে নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট, কৃত্রিম অভয়ারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু-কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল ও জেট ফাইটার বোট, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত নয়নাভিরাম ক্যানেল, রকিং হর্স, ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ। এ ছাড়া রয়েছে সুবিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, নিজস্ব কটেজ ও সুপ্রশস্ত বাংলো। ড্রিম হলিডে পার্কে রয়েছে থাই, ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ খাবারের ব্যবস্থা। রয়েছে আইসক্রিম পার্লার, কফি হাউস। এর পাশাপাশি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিখ্যাত ‘জামদানি হাউস’। কম দামে পাওয়া যাবে মেয়েদের থ্রি-পিস, বেড শিট ও অন্যান্য জিনিসপত্র। 


প্রবেশ মূল্য:
  • ১৫০ টাকা

খোলা-বন্ধের সময়সূচী:
প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৬ টা ৩০ মি. এর পর টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। 
পিকনিক আয়োজন করতে চাইলে:
ড্রিম হলিডে পার্কে মধুরিমা ও মায়াবী নামের দুটি পিকনিক স্পটও আছে। ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য ৩০০ জনের বেশি হলে ভাড়া গুনতে হবে ৮০ হাজার টাকা। ৫০০ জনের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর কার্য দিবসে ভাড়া কিছুটা কম। অর্থাৎ ৩০০ জনের বেশি হলে ভাড়া গুনতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আর ৫০০ জনের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ৯০ হাজার টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২ রুম সংবলিত একটি বাংলোর ব্যবস্থা থাকছে পিকনিকের জন্য। এর পাশাপাশি দোতলা বাংলোর ব্যবস্থা রয়েছে।

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে কমলাপুর, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যাওয়া যায়। ৩০ মিনিট পরপর বাস পাবেন। আন্তনগর এগারোসিন্দুর ও মহানগর গোধূলী ট্রেনেও যেতে পারেন। অথবা, ঢাকা-সিলেট বিভাগের যে কোনো বাসে উঠলেই এ পার্কের গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। কিংবা কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে। এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টার যাত্রাপথ।

যোগাযোগ:
ফোন: ৯৫৬৪০৪৬, ৯৫৭০১৪০-৪১, ৭৬৩০২২৫
মোবাইল ০১৭১২-১৪৫৮৪৯, ০১৭২১-৪৯০৪২০
ওয়েবসাইট: www.dearmholidayparkbd.com     


ধন্যবাদ সবাইকে, ব্লগ ভিজিটের জন্যে।

ঢাকার সকল দর্শণীয় স্থান সমূহের সময় সূচি ।

 ঢাকার সকল দর্শ‍নীয় স্থানের ভ্রমণের নির্দি‍স্ট সময় সূচি।  

মিরপুর চিড়িয়াখানা,ঢাকাঃ 


বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা অবস্থিত ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে। শুধু আকার বা আয়তনের দিক থেকেই নয়। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির জীব-জানোয়ার পাশেই রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। সাপ্তাহিক বন্ধ ঃ রোববার (তবে অন্য কোন সরকারি ছুটি থাকলে খোলা থাকে) 

শিশু পার্ক, শাহবাগ:



ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কটি বাংলাদেশের অন্যান্য শিশুতোষ পার্কের মধ্যে অন্যতম। এটা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রবিবার বন্ধ। উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার শুধু ছিন্নমূল শিশুদের জন্য খোলা রাখা হয়। সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে এই শিশুপার্কে প্রবেশ করতে হয়। এই শিশুপার্কের বিভিন্ন মেশিনে উঠতে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের মূল্য প্রদান করতে হয়। তবে তা খুব বেশী নয়।  

বিজ্ঞান জাদুঘর: 



ঢাকার আগারগাঁও এলাকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছে বিজ্ঞান জাদুঘর। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য খোলা থাকে। শুধু শুক্রবার দিন বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বিজ্ঞান যাদুঘরের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার।  

বলধা গার্ডেন: 



উঁচু দালানে ঘেরা বলধা গার্ডেন নামের এই উদ্ভিদ উদ্দ্যানটি অবস্থিত পুরানো ঢাকার ওয়ারীতে। সপ্তাহের প্রতিদিন খোলা থাকে। সময় সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টা হতে বিকাল ৫টা। এই বাগানে প্রবেশ করতে সামান্য প্রবেশ প্রদান করতে হয়।  

মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর: সেগুনবাগিচা।



ঢাকার সেগুন বাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর অবস্থিত। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যাদুঘরে সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।  

রমনা পার্ক:



ঢাকা শহরের নাগরিক কোলাহল থেকে একটু শান্তির প্রত্যাশায় কোথাও যেতে চান। তাহলে চলে যান ঢাকার রমনা পার্কে। এই পার্কটি সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত খোলা থাকে। ঢাকা শাহাবাগের মোড় থেকে একটু এগিয়ে শিশুপার্কের সামনে এই পার্কের অবস্থান। এতে প্রবেশ করতে কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না।  

সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান: 



ঐতিহাসিক ময়দানটি এখন সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান হিসাবে খ্যাত। এই উদ্যানটির গুরুত্ব ও ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। একসময় এটি ঘোড়দৌড়ের মাঠ হিসাবে বিখ্যাত ছিল। এখন সেখান গাছের ছায়া ঘেরা সবুজ বৃক্ষরাজিতে ভরপুর সবুজ চত্বর।  

শ্যামলী শিশুমেলা:



এটি ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত। বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত শিশুদের পার্ক। প্রতিদিন সকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাপ্তাহিক কোনো বন্ধ নেই।  

সামরিক যাদুঘর: 



এটি মিরপুরে অবস্থিত। সকাল ১০-৩০মিঃ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সামরিক যাদুঘর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ। 

আহসান মঞ্জিল: 


বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল এক ঐতিহাসিক ভবন। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের স্মৃতি। প্রাচীন সভ্যতার ধারক ও বাহক হিসেবে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের গুরুত্ব অপরিসীম। আহসান মঞ্জিল এক সময় ব্রিটিশ ভারতীয় উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নবাবদের বাসগৃহ ছিল।
বিল্ডিংটি স্থাপত্য দৃষ্টিনন্দন। যে কোনো মানুষের হৃদয়কে আকর্ষণ করে এর স্থাপত্য কৌশল। জাদুঘরটির প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলায় রয়েছে নবাবদের ঐতিহ্যপূর্ণ জীবনযাত্রার চিত্র। জাদুঘরটি সর্বমোট ২টি গ্যালারীতে ভাগ করে বিভিন্ন বিষয়কে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাপ্তাহিক বন্ধঃ বৃহস্পতিবার।
শুক্রবারঃ বিকাল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা পর্যন্ত।
শনিবার – বুধবারঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত। 
বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরঃ

রাজধানী ঢাকা শহরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জাতীয় যাদুঘরটি অন্যতম। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে এই উন্নতমানের যাদুঘুরটি অবস্থিত। পিজি হাসপাতালের উল্টোদিকে এবং জাতীয় গ্রন্থাগারের পাশে মনোরম পরিবেশে আধুনিক কারুকার্য ও নকশায় নির্মিত এই যাদুঘরটি অগণিত মানুষের হৃদয় করেছে জয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ বাগানে ঘেরা চত্বরটি সহজেই দর্শকের হৃদয়কে আকর্ষণ করে।
এই যাদুঘর একবার মন দিয়ে দেখলে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। সাধারণত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া জাতীয় যাদুঘর গ্যালারী শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল ১২:৩০মিনিট হতে বিকাল ৪:৩০মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শুক্রবার বিকাল ৩:৩০মিনিট থেকে সন্ধা ৭:০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি দশ টাকা ফি নেয়া হয়। তিন বছরের নিচের বয়সের শিশুদের কোনো ফি প্রয়োজন হয় না। জাদুঘরের ভিতরে প্রতি তলায় যেসব জিনিস আছে – সেগুলো সম্পর্কে নির্দেশিকা দেয়া রয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে যে কোন পর্যটক জাদুঘর প্রদর্শন করতে পারবেন। 
লালবাগের কেল্লাঃ 

তিন শতকের পুরান ঐতিহাসিক স্থান লালবাগের কেল্লা, যাকে দুর্গও বলা হয়। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা আজম ১৬৭৮খ্রিষ্টাব্দে এই কেল্লা নির্মাণ করেন। কেল্লার অভ্যন্তরে তিনটি পুরাকীর্তি রয়েছে। একটি হল পরী বিবির মাজার, একটি হল দরবার হল ও হাম্মাম এবং তৃতীয়টি হল তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।
এ কেল্লার চারটি ফটকের মধ্যে প্রধান ফটক যেটি একশ টাকার নোটে মুদ্রিত সেটি এখন বন্ধ। তার বিপরীত দিকের চারটি ফটকের মাঝখানের ইট এখন প্রধান ফটক হিসেবে স্বীকৃত। এ ফটকটিই দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
লালবাগ কেল্লা বা দুর্গ জাদুঘরটিতে প্রবেশ মূল্য হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ২ টাকা করে রাখা হয়। কেল্লাটি শনিবারে বন্ধ থাকে। এছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন সকাল ১০টা থেকে একটা এবং দুইটা থেকে সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
সাপ্তাহিক বন্ধঃ রোববার
সোমবারঃ দুপুর ১.৩০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত
মঙ্গলবার – শনিবারঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত। 
বাহাদুর শাহ্‌ পার্কঃ 

অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক। আঠার শতকের শেষের দিকে এটি ছিল ঢাকার তদনীন্তন আর্মেনীয়দের ক্লাব। তবে ঢাকাবাসী এর নাম দেয় অন্টাঘর। ১৮৫৭ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসনভার গ্রহণ করার পর আন্টাঘর ময়দান ভিক্টোরিয়া পার্কে পরিণত হয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালনকালে এই পার্কে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের নামানুসারে ভিক্টোরিয়া পার্কের নতুন নামকরণ হয় বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক।
প্রতিদিন খোলা থাকেঃ ভোর ৫.০০ টা থেকে সকাল ৯.০০ টা, বিকাল ৩.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব(ভাসানী) নভোথিয়েটার – বিজয় সরণি

প্রবেশ মূল্য: ৫০ টাকা। সকালের প্রদর্শনীর এক ঘন্টা আগে এবং অন্যান্য প্রদর্শনীর দুই ঘন্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সফরের ক্ষেত্রে অগ্রিম টিকিট নেওয়ার সুযোগ আছে।
সাপ্তাহিক বন্ধঃ বুধবার
শনি – মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারঃ সকাল ১১.০০ টা, দুপুর ১.০০ টা, বিকাল ৩.০০ টা, বিকেল ৫.০০ টা এবং সন্ধ্যা ৭.০০ টায়।
শুক্রবারঃ সকাল ১১.৩০ টা, বিকাল ৩.০০ টা, বিকেল ৫.০০ টা, সন্ধ্যা ৭.০০ টায়। 
নন্দন পার্ক – আশুলিয়া 

প্রতিদিন খোলা থাকেঃ সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা।  

ফ্যান্টাসি কিংডম – আশুলিয়া

প্রতিদিন খোলা থাকেঃ সকাল ১১.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা।
শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনঃ সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা।  

জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) – মিরপুর

মার্চ থেকে নভেম্বর প্রতিদিনঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত।
প্রবেশ মূল্য: ৫ টাকা, ছোটদের ২ টাকা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৩ টাকা।    


ব্লগ ভিজিটের জন্যে ধন্যবাদ।


সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬

সাজেকের পাহাড় চূড়ায়।


বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণগন্তব্যগুলোর একটি সাজেক। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় জায়গাটির অবস্থান। সাজেকের পাহাড়চূড়া থেকে পুরো রাঙামাটির চারপাশ দৃষ্টিগোচর হয় বলে একে রাঙামাটির ছাদও বলা হয়।

খাগড়াছড়ি শহর ছেড়ে সাজেকের পথে কিছুদূর গেলেই পাহাড়ের উচ্চতা বাড়তে থাকে। সামনের দিকে পাহাড়গুলো যেন আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
চলতে চলতে প্রথমে পথে পড়বে দিঘীনালা। সেখান থেকে আরও চললে বাঘাইহাট বাজার। এখানে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে পর্যটকদের রিপোর্ট করে যেতে হবে।  বাঘাইহাট ক্যাম্প থেকে সামনে পড়বে তিন নদীর মিলনস্থল গঙ্গারাম মুখ। সেখানেই মাসালং আর গঙ্গারাম নদী এসে মিলেছে কাসালং নদীতে। এই কাসালংই কাপ্তাই হ্রদ হয়ে কর্ণফুলীতে মিলেছে। কংক্রিটের সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে পাহাড়ি এ নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
এর পরে সাজেক ভ্যালির দিকে চলতে হবে উঁচু নিচু পাহাড়ের বুক চিড়ে। ঘন সবুজ পাহাড়ের মাঝে কালো পিচঢালা পথ, সর্পিল আঁকাবাঁকা। কোথাও কোথাও পাহাড়ের উচ্চতা এত বেশি যে উপরে উঠতে গাড়ির ত্রাহি অবস্থা, যেন দম ফুরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
এ পথে চলতে সড়কের দুই পাশে চোখে পড়বে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। বিশেষভাবে বাঁশের মাচানের উপর তৈরি করা এসব বাড়িঘর।

সাজেক যাওয়ার পথে পড়বে মাসালং সেনাক্যাম্প। সেখানে রিপোর্ট করে একটু সামনে গেলেই মাচালং বাজার। পাহাড়ি এ বাজার সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার বসে। তবে শুক্রবারে বাজারের অবস্থা থাকে বেশি জমজমাট। দূর দূরান্ত থেকে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষেররা এ বাজারের আসেন বিকিকিনি করতে।
মাসালং বাজার থেকে সাজেকের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। তবে এ পথে পাহাড়ের উচ্চতা আরও বেশি। এখান থেকে কয়েকটা বাঁক ঘুরলে দূরে দেখা যায় সাজেক ভ্যালি।
সাজেক ভ্যালির শুরুতেই রুইলুই পাড়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট। এ গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগ ত্রিপুরা ও লুসাই।১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামটিই এখন সাজেক পর্যটন এলাকার মূল আকর্ষণ। রুইলুই পাড়ার শুরুতেই আছে এখানকার সর্বাধুনিক সাজেক রিসোর্ট। আর প্রথম হেলিপ্যাড ছাড়িয়ে অন্যপ্রান্ত আছে আরেকটি রিসোর্ট ‘রুনময়’। দুটি রিসোর্টই সেনা পরিচালিত।
রুইলুই পাড়ার শেষ প্রান্তে আছে দেশের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্প।

বিজিবি ক্যাম্প থেকে প্রায় এক কিলোমিটার সামনে কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় আরেক পাহাড়ি গ্রাম কংলাকপাড়া। এ গ্রামেও লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস। কংলাক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় খালি চোখে দেখা যায়।
এ গ্রামের নিচে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আরও কয়েকটি গ্রাম আছে। তবে এ গ্রামগুলো খুবই দুর্গম। কংলাক পাহাড়ের গোড়ায় নিঃস্বর্গের মাঝে আছে জলবুক কটেজ। সাজেকের অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য জুলবুকের ইকো কটেজগুলোর জুড়ি নেই।
কীভাবে যাবেন
প্রথমে যেতে হবে খাগড়াছড়ি শহরে। ঢাকা থেকে সেন্টমসার্টিন পরিবহনের এসি বাস যায় খাগড়াছড়ি। ভাড়া ৯০০ টাকা।
এছাড়া সেন্টমার্টিন, শান্তি, শ্যামলী, সৌদিয়া ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসও চলে এ পথে। ভাড়া ৫২০ টাকা।
চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে শান্তি পরিবহনের নন এসি বাস সরাসরি খাগড়াছড়ি যায়। ভাড়া ১৬০ টাকা।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার মূল বাহন জিপ। স্থানীয়রা একে বলেন চাঁদের গাড়ি। এ পথে যাওয়া আসার একটি চাঁদের গাড়ির ভাড়া ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা। একটি গাড়িতে ১০ থেকে ১৫ জন চড়তে পারেন।
কোথায় থাকবেন
সাজেকে থাকার জন্য রুইলুই পাড়ার দুই প্রান্তে আছে সর্বাধুনিক ‘সাজেক রিসোর্ট’ আর ‘রুনময় রিসোর্ট’। দুটি রিসোর্টই সেনাবাহিনী পরিচালিত।
সাজেক রিসোর্টের কক্ষ ভাড়া সাধারণ পর্যটকদের জন্য ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু। রিসোর্ট দুটির বিস্তারিত তথ্য মিলবে এই ওয়েবসাইটে    



আজ এ পর্য‍ন্তই। ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।