শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

লালবাগ কেল্লায় খোলা আকাশের হাতছানি।


লালবাগ কেল্লায় ভ্রমণ।




রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে মোঘল আমলে স্থাপিত প্রাচীন দুর্গ হলো লালবাগের কেল্লা। যা পুরান ঢাকার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন।
লালবাগ কেল্লা মোগল আমলের বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন। যেখানে একইসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টি পাথর, মার্বেল পাথরসহ নানান রঙ-বেরঙের টালি। লালবাগ কেল্লা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ঐতিহাসিক নিদর্শনে এমন বৈচিত্র্যময় সংমিশ্রণ পাওয়া যায়নি।

লালবাগ কেল্লার ইতিহাস

এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত। আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে ‘লালবাগের কেল্লা’। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ।

লালবাগের কেল্লার নকশা করেন শাহ আজম। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব-এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। ফলে একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।
নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এ দুর্গ অপয়া মনে করা হয় এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
পরী বিবিকে দরবার হল এবং মসজিদের ঠিক মাঝখানে সমাহিত করা হয়। শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন। ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে। ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করে।
প্রথমে এর নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। পরে লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয়। অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
স্থাপনা

লালবাগের কেল্লায় স্থাপনার মধ্যে পরী বিবির সমাধি উল্লেখযোগ্য। এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন। প্রশস্ত এলাকা নিয়ে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-
কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা, পরী বিবির সমাধি, উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাংশে সুদৃশ্য ফটক এবং দক্ষিণ দেয়ালের ছাদের উপরে বাগান রয়েছে।
সময়সূচি

গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রোববার পূর্ণ দিবস, সোমবার অর্ধদিবস কেল্লা বন্ধ থাকে। এছাড়া সব সরকারি ছুটির দিন লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।
প্রবেশ মূল্য

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০, সার্কভূক্ত দেশের পর্যটকদের জন্য ১০০, বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা। এছাড়া মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা।
এদিকে, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড (বিটিসিএল) যৌথভাবে লালবাগ কেল্লায় ফ্রি ওয়াইফাই জোন চালু করছে। এখানে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে দর্শনার্থীদের কোনো পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হবে না।   




ধন্যবাদ, ব্লগ ভিজিটের জন্যে। 


সংগ্রাম পুঞ্জি মায়াবী ঝর্ণা ।

সংগ্রাম পুঞ্জি মায়াবী ঝর্ণা , সিলেট।  





মেঘালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা পানির স্রোতধারা , আর দিগন্ত বিস্তৃত চারণ ভূমি দেখতে পাবেন সেখানে । ঝর্ণার নিচে অল্প পানি থাকায় দুর্ঘটনার ঘটার আশংকা খুব কম । সেখানে আপনি পাহাড় বেয়ে আসা ঝর্ণার শীতল পানিতে গোসল করেও নিতে পারেন । জায়গাটা প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেট জেলার, গোয়াইনঘাট উপজেলায় । প্রকৃতি কন্যা জাফলং এর কাছেই হাতছানি দিয়ে প্রকৃতি প্রেমীদেরকে ডাকছে মায়াবী ঝর্ণা । ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা পাহাড়ের নিচে এই অপরূপ মায়াবী ঝর্ণা‍ ।

সিলেট থেকে কিভাবে যাবেন – সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পয়েন্ট থেকে থেকে সিএনজি অটোরিকশা বা মাইক্রোবাস রিজার্ভ করে, বা জাফলং এর সিলেট কদমতলি টার্মিনাল হতে বাসে চেপে জাফলং বল্লাঘাট যাবেন । আর সেখান থেকে নৌকায় পিয়াইন নদী পাড় হয়ে খাসিয়া পুঞ্জি থেকে রিক্সা বা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্টলিতে করে সংগ্রাম পুঞ্জির অপর প্রান্তে নামলেই মেঘালয় পাহাড় দেখতে পাবেন । সেখান থেকে পায়ে হেটে আধা কিলোমিটার হাটলেই শুনতে পাবেন ঝর্ণার গর্জন, দেখতে পাবেন মায়াবী ঝর্ণার হাতছানি। অথবা জাফলং বল্লাঘাট থেকে টুরিষ্ট নৌকা করে যেতে পারেন । ইতিমধ্যে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন এই ঝর্ণায় ।  সময় করে স্বপরিবারে ঘুরে আসুন এই নতুন ঝর্ণা‍ হতে। 




ধন্যবাদ , ব্লগ ভিজিটের জন্যে।  


শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

ড্রিম হলিডে পার্ক‍ , নরসিংদী।

ড্রিম হলিডে পার্ক‍ , নরসিংদী। 

রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদী জেলায় গড়ে উঠেছে বিশ্বমানের থিম পার্ক ‘ড্রিম হলিডে’। সদর উপজেলার পাঁচদোনা চৈতাব এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে এই পার্কটি অবস্থিত। ২০১১ সালের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি চালু করা হয়। ছোট-বড় সবার জন্যই রয়েছে আলাদা সব রাইড।

৬০ একর জমির ওপর নির্মিত এ পার্কে রয়েছে নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট, কৃত্রিম অভয়ারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু-কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল ও জেট ফাইটার বোট, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত নয়নাভিরাম ক্যানেল, রকিং হর্স, ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ। এ ছাড়া রয়েছে সুবিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, নিজস্ব কটেজ ও সুপ্রশস্ত বাংলো। ড্রিম হলিডে পার্কে রয়েছে থাই, ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ খাবারের ব্যবস্থা। রয়েছে আইসক্রিম পার্লার, কফি হাউস। এর পাশাপাশি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিখ্যাত ‘জামদানি হাউস’। কম দামে পাওয়া যাবে মেয়েদের থ্রি-পিস, বেড শিট ও অন্যান্য জিনিসপত্র। 


প্রবেশ মূল্য:
  • ১৫০ টাকা

খোলা-বন্ধের সময়সূচী:
প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৬ টা ৩০ মি. এর পর টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। 
পিকনিক আয়োজন করতে চাইলে:
ড্রিম হলিডে পার্কে মধুরিমা ও মায়াবী নামের দুটি পিকনিক স্পটও আছে। ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য ৩০০ জনের বেশি হলে ভাড়া গুনতে হবে ৮০ হাজার টাকা। ৫০০ জনের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর কার্য দিবসে ভাড়া কিছুটা কম। অর্থাৎ ৩০০ জনের বেশি হলে ভাড়া গুনতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আর ৫০০ জনের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ৯০ হাজার টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২ রুম সংবলিত একটি বাংলোর ব্যবস্থা থাকছে পিকনিকের জন্য। এর পাশাপাশি দোতলা বাংলোর ব্যবস্থা রয়েছে।

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে কমলাপুর, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যাওয়া যায়। ৩০ মিনিট পরপর বাস পাবেন। আন্তনগর এগারোসিন্দুর ও মহানগর গোধূলী ট্রেনেও যেতে পারেন। অথবা, ঢাকা-সিলেট বিভাগের যে কোনো বাসে উঠলেই এ পার্কের গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। কিংবা কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে। এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টার যাত্রাপথ।

যোগাযোগ:
ফোন: ৯৫৬৪০৪৬, ৯৫৭০১৪০-৪১, ৭৬৩০২২৫
মোবাইল ০১৭১২-১৪৫৮৪৯, ০১৭২১-৪৯০৪২০
ওয়েবসাইট: www.dearmholidayparkbd.com     


ধন্যবাদ সবাইকে, ব্লগ ভিজিটের জন্যে।

ঢাকার সকল দর্শণীয় স্থান সমূহের সময় সূচি ।

 ঢাকার সকল দর্শ‍নীয় স্থানের ভ্রমণের নির্দি‍স্ট সময় সূচি।  

মিরপুর চিড়িয়াখানা,ঢাকাঃ 


বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা অবস্থিত ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে। শুধু আকার বা আয়তনের দিক থেকেই নয়। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির জীব-জানোয়ার পাশেই রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। সাপ্তাহিক বন্ধ ঃ রোববার (তবে অন্য কোন সরকারি ছুটি থাকলে খোলা থাকে) 

শিশু পার্ক, শাহবাগ:



ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কটি বাংলাদেশের অন্যান্য শিশুতোষ পার্কের মধ্যে অন্যতম। এটা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রবিবার বন্ধ। উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার শুধু ছিন্নমূল শিশুদের জন্য খোলা রাখা হয়। সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে এই শিশুপার্কে প্রবেশ করতে হয়। এই শিশুপার্কের বিভিন্ন মেশিনে উঠতে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের মূল্য প্রদান করতে হয়। তবে তা খুব বেশী নয়।  

বিজ্ঞান জাদুঘর: 



ঢাকার আগারগাঁও এলাকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছে বিজ্ঞান জাদুঘর। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য খোলা থাকে। শুধু শুক্রবার দিন বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বিজ্ঞান যাদুঘরের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার।  

বলধা গার্ডেন: 



উঁচু দালানে ঘেরা বলধা গার্ডেন নামের এই উদ্ভিদ উদ্দ্যানটি অবস্থিত পুরানো ঢাকার ওয়ারীতে। সপ্তাহের প্রতিদিন খোলা থাকে। সময় সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টা হতে বিকাল ৫টা। এই বাগানে প্রবেশ করতে সামান্য প্রবেশ প্রদান করতে হয়।  

মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর: সেগুনবাগিচা।



ঢাকার সেগুন বাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর অবস্থিত। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যাদুঘরে সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।  

রমনা পার্ক:



ঢাকা শহরের নাগরিক কোলাহল থেকে একটু শান্তির প্রত্যাশায় কোথাও যেতে চান। তাহলে চলে যান ঢাকার রমনা পার্কে। এই পার্কটি সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত খোলা থাকে। ঢাকা শাহাবাগের মোড় থেকে একটু এগিয়ে শিশুপার্কের সামনে এই পার্কের অবস্থান। এতে প্রবেশ করতে কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না।  

সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান: 



ঐতিহাসিক ময়দানটি এখন সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান হিসাবে খ্যাত। এই উদ্যানটির গুরুত্ব ও ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। একসময় এটি ঘোড়দৌড়ের মাঠ হিসাবে বিখ্যাত ছিল। এখন সেখান গাছের ছায়া ঘেরা সবুজ বৃক্ষরাজিতে ভরপুর সবুজ চত্বর।  

শ্যামলী শিশুমেলা:



এটি ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত। বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত শিশুদের পার্ক। প্রতিদিন সকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাপ্তাহিক কোনো বন্ধ নেই।  

সামরিক যাদুঘর: 



এটি মিরপুরে অবস্থিত। সকাল ১০-৩০মিঃ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সামরিক যাদুঘর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ। 

আহসান মঞ্জিল: 


বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল এক ঐতিহাসিক ভবন। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের স্মৃতি। প্রাচীন সভ্যতার ধারক ও বাহক হিসেবে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের গুরুত্ব অপরিসীম। আহসান মঞ্জিল এক সময় ব্রিটিশ ভারতীয় উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নবাবদের বাসগৃহ ছিল।
বিল্ডিংটি স্থাপত্য দৃষ্টিনন্দন। যে কোনো মানুষের হৃদয়কে আকর্ষণ করে এর স্থাপত্য কৌশল। জাদুঘরটির প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলায় রয়েছে নবাবদের ঐতিহ্যপূর্ণ জীবনযাত্রার চিত্র। জাদুঘরটি সর্বমোট ২টি গ্যালারীতে ভাগ করে বিভিন্ন বিষয়কে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সাপ্তাহিক বন্ধঃ বৃহস্পতিবার।
শুক্রবারঃ বিকাল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা পর্যন্ত।
শনিবার – বুধবারঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত। 
বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরঃ

রাজধানী ঢাকা শহরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জাতীয় যাদুঘরটি অন্যতম। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে এই উন্নতমানের যাদুঘুরটি অবস্থিত। পিজি হাসপাতালের উল্টোদিকে এবং জাতীয় গ্রন্থাগারের পাশে মনোরম পরিবেশে আধুনিক কারুকার্য ও নকশায় নির্মিত এই যাদুঘরটি অগণিত মানুষের হৃদয় করেছে জয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ বাগানে ঘেরা চত্বরটি সহজেই দর্শকের হৃদয়কে আকর্ষণ করে।
এই যাদুঘর একবার মন দিয়ে দেখলে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। সাধারণত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া জাতীয় যাদুঘর গ্যালারী শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল ১২:৩০মিনিট হতে বিকাল ৪:৩০মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শুক্রবার বিকাল ৩:৩০মিনিট থেকে সন্ধা ৭:০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি দশ টাকা ফি নেয়া হয়। তিন বছরের নিচের বয়সের শিশুদের কোনো ফি প্রয়োজন হয় না। জাদুঘরের ভিতরে প্রতি তলায় যেসব জিনিস আছে – সেগুলো সম্পর্কে নির্দেশিকা দেয়া রয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে যে কোন পর্যটক জাদুঘর প্রদর্শন করতে পারবেন। 
লালবাগের কেল্লাঃ 

তিন শতকের পুরান ঐতিহাসিক স্থান লালবাগের কেল্লা, যাকে দুর্গও বলা হয়। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা আজম ১৬৭৮খ্রিষ্টাব্দে এই কেল্লা নির্মাণ করেন। কেল্লার অভ্যন্তরে তিনটি পুরাকীর্তি রয়েছে। একটি হল পরী বিবির মাজার, একটি হল দরবার হল ও হাম্মাম এবং তৃতীয়টি হল তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।
এ কেল্লার চারটি ফটকের মধ্যে প্রধান ফটক যেটি একশ টাকার নোটে মুদ্রিত সেটি এখন বন্ধ। তার বিপরীত দিকের চারটি ফটকের মাঝখানের ইট এখন প্রধান ফটক হিসেবে স্বীকৃত। এ ফটকটিই দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
লালবাগ কেল্লা বা দুর্গ জাদুঘরটিতে প্রবেশ মূল্য হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ২ টাকা করে রাখা হয়। কেল্লাটি শনিবারে বন্ধ থাকে। এছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন সকাল ১০টা থেকে একটা এবং দুইটা থেকে সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
সাপ্তাহিক বন্ধঃ রোববার
সোমবারঃ দুপুর ১.৩০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত
মঙ্গলবার – শনিবারঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত। 
বাহাদুর শাহ্‌ পার্কঃ 

অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক। আঠার শতকের শেষের দিকে এটি ছিল ঢাকার তদনীন্তন আর্মেনীয়দের ক্লাব। তবে ঢাকাবাসী এর নাম দেয় অন্টাঘর। ১৮৫৭ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসনভার গ্রহণ করার পর আন্টাঘর ময়দান ভিক্টোরিয়া পার্কে পরিণত হয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালনকালে এই পার্কে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের নামানুসারে ভিক্টোরিয়া পার্কের নতুন নামকরণ হয় বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক।
প্রতিদিন খোলা থাকেঃ ভোর ৫.০০ টা থেকে সকাল ৯.০০ টা, বিকাল ৩.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব(ভাসানী) নভোথিয়েটার – বিজয় সরণি

প্রবেশ মূল্য: ৫০ টাকা। সকালের প্রদর্শনীর এক ঘন্টা আগে এবং অন্যান্য প্রদর্শনীর দুই ঘন্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সফরের ক্ষেত্রে অগ্রিম টিকিট নেওয়ার সুযোগ আছে।
সাপ্তাহিক বন্ধঃ বুধবার
শনি – মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারঃ সকাল ১১.০০ টা, দুপুর ১.০০ টা, বিকাল ৩.০০ টা, বিকেল ৫.০০ টা এবং সন্ধ্যা ৭.০০ টায়।
শুক্রবারঃ সকাল ১১.৩০ টা, বিকাল ৩.০০ টা, বিকেল ৫.০০ টা, সন্ধ্যা ৭.০০ টায়। 
নন্দন পার্ক – আশুলিয়া 

প্রতিদিন খোলা থাকেঃ সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা।  

ফ্যান্টাসি কিংডম – আশুলিয়া

প্রতিদিন খোলা থাকেঃ সকাল ১১.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা।
শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনঃ সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা।  

জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) – মিরপুর

মার্চ থেকে নভেম্বর প্রতিদিনঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনঃ সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত।
প্রবেশ মূল্য: ৫ টাকা, ছোটদের ২ টাকা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৩ টাকা।    


ব্লগ ভিজিটের জন্যে ধন্যবাদ।