বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

ঢাকার কাছাকাছি এক দিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা

 

"ঢাকার কাছাকাছি এক দিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা"

যারা ঢাকায় থাকেন করোনাকালীন সময়ে বাসায় থেকে থেকে অনেকেরই, বিশেষ করে মেয়ে ও বাচ্চাদের নাভিঃশ্বাস অবস্থা। দূরে কোথাও যাওয়াও এখন অনেকের জন্য কঠিন। তাই সাপ্তাহিক ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঢাকার কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। 

পানাম সিটি ও বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর


হারিয়ে যাওয়া শহর হিসাবে পরিচিত পানাম নগর বা পানাম সিটি ঢাকার পার্শবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি এই পানাম নগর।

এর পাশেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের উদ্যোগে বিশাল এলাকা জুরে নির্মিতি বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর অবস্থিত। এখানে ঐতিহাসিক সব নিদর্শন দেখার পাশাপাশি সল্পমূল্যে কিনতে পাবেন জামদানি শাড়ি।

যাতায়াত :

গুলিস্তান থেকে স্বদেশ, বোরাক ও সোনারগাঁ নামক বাসে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় নামতে হবে। মোগরাপাড়া থেকে পানাম সিটি বা লোকশিল্প জাদুঘরের দূরত্ব প্রায় ২ কি.মি.। চাইলে রিক্সা অথবা সিএনজি তে করে যেতে পারেন।


বালিয়াটি জমিদার বাড়ি


ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় বালিয়াটি গ্রামে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিতএই জমিদার বাড়ির বিশাল সব স্থাপনা আপনাকে নি:সন্দেহে অবাক করবে । বালিয়াটি জমিদারবাড়ির স্থাপত্যশৈলী প্রাচীন, উপনিবেশিক ধাঁচের। বাড়ির প্রতিটি প্রাসাদে সূক্ষ্ম কারুকাজ ও নকশা সহজেই পর্যটকের দৃষ্টি কাড়ে। বিশেষ করে সামনের সারির প্রাসাদের থামগুলোর ওপরের দিকে সর্পাকৃতি ও মানুষেরমাথার অপূর্ব নকশা সবাইকে মোহিত করে।


বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের বড় জমিদার বাড়িগুলোর একটি। মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে সান বাধানো পুকুর ঘাট। জমিদার বাড়ির পুরোটাই মনোরম পরিবেশে ঘেরা! প্রতি সপ্তাহে রোববার ও সোমবার অর্ধবেলা ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত গেট দর্শনার্থীদের জন্য গেট উন্মুক্ত থাকে।

যাতায়াত :

ঢাকার গাবতলী থেকে এসবি লিংক ও জনসেবা বাসে সাটুরিয়া যাওয়া যাবে। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৭০-৮০ টাকা। সাটুরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে রিকশা বা ভ্যানে করেও যাওয়া যায়।

জিন্দা পার্ক




সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোয়া পেতে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্ক হতে পারে একটি আদর্শ জায়গা। ঢাকা থেকে দুরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। ১৫০ একর জায়গা নিয়ে এই জিন্দা পার্কটি গড়ে উঠেছে। দশ হাজারের বেশি গাছ, ৫টি জলধার ও অসংখ্য পাখি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ক্যান্টিন , লাইব্রেরি, মিনি চিড়িয়াখানা ও জলাধারে ঘোরার জন্য নৌকা। খাওয়া দাওয়ার জন্য পার্কের ভিতরেই রেস্টুরেন্ট আছে।

প্রবেশমূল্যঃ প্রাপ্তবয়স্ক ১০০ টাকা, ছোটোদের ৫০ টাকা।

যাতায়াত :

জিন্দা পার্ক যাবার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ৩০০ ফিট দিয়ে। সেখান থেকে যেতে হবে কাঞ্চন ব্রিজ। এরপর ঢাকা সিটি বাইপাস ধরে কিছু দুরেই জিন্দা পার্ক।

অথবা ঢাকা হতে টঙ্গী মীরের বাজার হয়ে বাইপাস রাস্তা দিয়েও যাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচপুর ব্রিজ দিয়ে ভুলতা গাওছিয়া হয়ে বাইপাস দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে জিন্দা পার্কে যাওয়া যায়।

গোলাপ গ্রাম



একটু মুক্ত হাওয়া আর স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের গোলাপ গ্রামেএই ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর, মোস্তাপাড়া গ্রামজুড়ে আছে গোলাপের রাজ্য। যতদূর চোখ যায়, শুধু গোলাপ আর গোলাপ। তাই এ গ্রামগুলো এখন গোলাপ গ্রামনামেই বেশি পরিচিত।

গোলাপ গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় মূলত গোলাপের সিজনে, শীতে। পুরো গ্রামেই রয়েছে গোলাপ সহ রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকার ক্ষেত।

যাতায়াত :

মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পরপর ইঞ্জিনচালিত বোট ছাড়ে। সাদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৪৫ মিনিট- ১ ঘণ্টা লাগবে।

এছাড়া মিরপুর শাহআলী মাজার এর সামনে কোনাবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড থেকে বাসে করে আকরান বাজার। আকরান বাজার থেকে অটোতে করে ফুলের বাজারে কিংবা সাদুল্লাহপুর গ্রাম।  

       মহেরা জমিদার বাড়ি



টাঙ্গাইলে ঘোরার মত অনেক জায়গা আছে যা এক দিনে ঘুরে শেষ করা কঠিন। তার মধ্যে মহেরা জমিদার বাড়ি সবচেয়ে সুন্দর। বর্তমানে এটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি। বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় বিভিন্ন রকম পাখি পালা হয়। রয়েছে একটি সুদৃশ্য কয়েকটি পুকুরও।

যাতায়াত :

টাঙ্গাইল গামী বাসে "নাটিয়া পাড়াবাস স্ট্যান্ডে নামতে হবে। সময় লাগবে ২-২.৩০ ঘন্টার মত। এরপর একটা অটো রিকশা নিয়ে সহজেই মহেরা জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন। (এছাড়া মহাখালি থেকে ঝটিকা সার্ভিসনামে একটি বাস যায়)

বাংলার তাজমহল



চলচিত্র নির্মাতা আহসানুল্লাহ মনি আগ্রার তাজমহলের আদলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্মান করেছেন তাজমহল। রেপ্লিকা হলেও প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্মান করা হয়েছে।

যাতায়াত :

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী কিংবা কিশোরগঞ্জগামী বাসে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজিতে করে বাংলার তাজমহল দেখতে যেতে পারবেন।

মুড়াপারা জমিদার বাড়ি


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১৮৮৯ সালে প্রায় ৬২ বিঘা জমির উপর বাবু রামরতন ব্যানার্জী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই জমিদার বাড়িটিও ঐতিহাসিক নিদর্শন ধারন করে আছে। বর্তমানে এটি একটি কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যা সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ নামে পরিচিত।

যাতায়াত : ঢাকার সায়েদাবাদ, গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ি বাস টার্মিনাল থেকে বাসে করে (মেঘলা, আসিয়ান বা গ্লোরি) করে ভুলতা বা রূপসী বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। নরসিংদী ও ভৈরবগামী বাসে ভুলতা এসে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিতে (জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া) দিয়ে সরাসরি মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।


করোনাকালে কিছু কিছু ভ্রমন স্পট খুলে দেয়া হয়েছে আবার অনেকগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে । তাই ভ্রমনের আগে একটু নিশ্চিত হয়ে নিবেন। 

অনির্দিষ্ট জায়গায় আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ।  



=============





শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্ক,সিলেট।


খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্ক, সিলেট খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্ক (Khadimnagar National Park) যেতে চাইলে সিলেট শহর থেকে জাফলং রোড ধরে ১০ কিমি এর মতো এগুলেই শাহপরান মাজার গেট পেরুনোর পর পরই খাদিম চৌমুহনা। খাদিম চৌমুহনা থেকে হাতের ডানদিকে খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্ক এর রাস্তা চলে গেছে। সিলেট শহর থেকে জাফলং রোড ধরে ১০ কিমি এর মতো এগুলেই শাহপরান মাজার গেট পেরুনোর পর পরই খাদিম চৌমুহনা। খাদিম চৌমুহনা থেকে হাতের ডানদিকে চলে গেছে রাস্তা। রাস্তা ধরে সামনে গেলে খাদিমনগর চাবাগানের শুরু। বাগানের রাস্তা ধরে আরেকটু সামনে গেলে একটা কালভার্ট। কালভার্ট পেরিয়ে বামের রাস্তা না ধরে পথ ধরে এগিয়ে যেতে থাকলে আরো চা বাগান, চা বাগানের পর প্রাকৃতিক বনের হাতছানি। মুল সড়ক থেকে উত্তরের দিকে পাকা, কাঁচা ও ইট বিছানো পাঁচ কিমি পথ পেরুনোর পর খাদিমনগর রেইনফরেস্টের শুরু। পূর্বে ছড়াগাঙ্গ ও হাবিবনগর, পশ্চিমে বরজান ও কালাগুল, উত্তরে গুলনি, দক্ষিনে খাদিমনগর এই ছয়টি চা বাগানের মাঝখানে ১৬৭৩ একর পাহাড় ও প্রাকৃতিক বনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই রেইনফরেস্টটি জাতীয় উদ্যান বলে সরকারী স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ইউএসএইড এর সহায়তায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে।খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্ক (Khadimnagar National Park) এ হাঁটার জন্য ৪৫ মিনিট ও দুই ঘন্টার দুটো ট্রেইল আছে। বনবিভাগের বিট অফিসের সামনে ট্রেইল দুটোর মানচিত্র দেয়া আছে, এ ছাড়া স্থানীয় কাউকে গাইড হিসাবে ও সাথে নেয়া যেতে পারে।রেইনফরেস্টের সামনে দিয়ে উত্তর দিকে যে রাস্তা চলে গেছে, সে দিক দিয়ে এগিয়ে গেলে এয়ারপোর্ট-হরিপুর সড়কে উঠা যায়, সেখান থেকে আবার রাতারগুল সোয়াম্পফরেস্টে ও সহজেই যাওয়া সম্ভব। কোন পর্যটক যদি একদিনের জন্য সিলেট ঘুরতে চান সে ক্ষেত্রে এই পথটি ব্যবহার করে চাবাগান, রেইনফরেস্ট, সোয়াম্পফরেস্ট দেখে যেতে পারেনএই পথের অধিকাংশ কাঁচা ও ইট বিছানো হলে ও গাড়ী নিয়ে যাওয়া যায় তবে বৃষ্টি থাকলে সে ক্ষেত্রে সিএনজি নিয়ে যাওয়া ভালো। খাদিম চৌমুহনাতে ভাড়ার সিএনজি পাওয়া যায়।



কিভাবে যাবেন?

বাসে সিলেট ঢাকা থেকে সিলেট এর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে৷বাস গুলো সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় পরপর ছেড়ে যায়৷ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে সিলেটের বাসগুলো ছাড়ে। এ পথে গ্রীন লাইন পরিবহন, সৌদিয়া এস আলম পরিবহন, শ্যামলি পরিবহন ও এনা পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৮শথেকে ১ হাজার ১শটাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক সার্ভিস, এনা পরিবহনের পরিবহনের নন এসি বাস সিলেটে যায়। ভাড়া ৪শথেকে সাড়ে ৪শটাকা। এনা পরিবহনের বাসগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে টঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে সিলেট যায়।ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ০৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ছাড়ে কালনী এক্সপ্রেস। ভাড়া দেড়শ থেকে ১ হাজার ১৮ টাকা। ট্রেনে গেলে রাত ৯.৫০ এর উপবন এক্সপ্রেসে জাওয়াটাই সব থেকে ভালো কারন আপনার যেতে যেতে সকাল হয়ে যাবে আর আপনি যদি রাতে ট্রেনে ঘুমিয়ে নিন তাহলে সকালে ট্রেন থেকে নেমেই আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারেন আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে সিলেট চট্টগ্রাম থেকে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১৪৫ থেকে ১ হাজার ১৯১ টাকা।ট্রেন এর টিকেট এর দাম: এসি বার্থ ৬৯৮ টাকা, এসি সিট ৪৬০ টাকা, ফার্স্ট ক্লাস বার্থ ৪২৫ টাকা, ফার্স্ট ক্লাস সিট ২৭০ টাকা. স্নিগ্ধা ৪৬০ টাকা, শোভন চেয়ার ১৮০ টাকা, শোভন ১৫০ টাকা, সুলভ ৯৫ টাকা। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ, ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান প্রতিদিন যায় সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে। সিলেটে থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা বা লেগুনায় যাওয়া যায় খাদিমনগর ন্যাশনাল পার্কে।জাফলং রোড ধরে ১০ কিমি এর মতো এগুলেই শাহপরান মাজার গেট পেরুনোর পর পরই খাদিম চৌমুহনা।


কোথায় থাকবেন?

যেতে আসতে সময় না লাগার কারনে আপনাকে আর থাকার চিন্তা করতে হবে না। সিলেটে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে, আপনি আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন। কয়েকটি পরিচিত হোটেল হল হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা,কায়কোবাদ ইত্যাদি। লালা বাজার এলাকায় কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত রেস্ট হাউস আছে৷ হোটেল অনুরাগ এ সিঙ্গেল রুম ৪০০টাকা (দুই জন আরামসে থাকতে পারবেন), তিন বেডের রুম ৫০০টাকা(নরমালই ৪জন থাকতে পারবেন)। রাত যাপনের জন্য দরগা রোডে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। রুম ভাড়া ৫০০/- টাকা থেকে ৫০০০/- টাকা পর্যন্তশহরের শাহজালাল উপশহরে হোটেল রোজ ভিউ (০৮২১-৭২১৪৩৯)।দরগা গেইটে হোটেল স্টার প্যাসিফিক (০৮২১-৭২৭৯৪৫)।ভিআইপি রোডে হোটেল হিলটাউন (০৮২১-৭১৬০৭৭)।বন্দরবাজারে হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (০৮২১-৭২১১৪৩)।নাইওরপুলে হোটেল ফরচুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)।জেল সড়কে হোটেল ডালাস (০৮২১-৭২০৯৪৫)।লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন (০৮২১-৮১৪৫০৭)।আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)।দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)।হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০)।তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮) ইত্যাদি।তামাবিল/জৈন্তাপুর এর দিকে বেশ কিছু রিসোর্ট আছে। আপনার থাকার ব্যবস্থা যদি এইদিকে কোথাও হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে হাদারপাড় থেকে আবার আগের মতই গোয়াইনঘাটে আসতে হবে। গোয়াইন ঘাট থেকে যেতে হবে সারি ঘাট। সিএনজি/লেগুনাতে করে যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ৬০টাকা। প্রতিটি জায়গা পরিদর্শনের পাশাপাশি সৌন্দর্য রক্ষা করাও প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।যারা আসল জঙ্গলের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা চান,তারা ঘুরে আসতে পারেন এখানে। তবে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে,আর পোকামাকড় থেকে সাবধান থাকতে হবে। যত গহীনে যাবেন,ততই আকৃষ্ট হবেন প্রকৃতির প্রতি। সকলের প্রতি ময়লা আর্বজনা যথাযথ স্থানে ফেলার অনুরোধ।কদিনের ট্যুরের জন্য সিলেটের খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান খুবই ভালো একটা অপশন। এখানে চা বাগান আছে এবং তাছাড়া ট্রি একটিভিটিজ এবং ঘন জংগলে ট্রেকিং এর ব্যবস্থা আছে। যদি ঘন জঙ্গলে ট্রেকিং করতে চান তাহলে সাথে গাইড নেয়া ভালো কারন পথ হারাবার সম্ভাবনা ছে। এক ঘন্টার গাইড খরচ ১৫০ টাকা।পূর্ণিমা রাতে ক্যাম্পিং এর জন্য খুবই দারুন জায়গা এটি। তাবু উদ্যান এর ভিতর এই ভাড়া পাওয়া যায় যেখানে একসাথে ২০ জন এর বেশি থাকার ব্যবস্থা নেই। এছাড়া সেখানেই রাত এর খাবার, সকালের নাস্তা অথবা বার-বি-কিউ এর ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি তাবু ভাড়া ৩০০ টাকা এবং তাবুতে দুই জন থাকা যায়।বর্ষাকালে ঝোপঝাড় ও বনের গাছগাছালি নিবিড় হওয়ায় সূর্যের আলো তেমন পৌঁছায় না। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ঝিঁঝিঁ ডাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন পথে হাটতে গা ছমছম করে।

করোনা মহামারীতে বেড়ানোতে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করবেন; মাস্ক ছাড়া চলাচল করবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে।