ভ্রমণঃ সেন্টমার্টিন।
বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষপ্রান্তে টেকনাফ উপজেলা। তার শেষে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। স্থানীয় ভাষায় ‘নারিকেল জিনজিরা’।আমাদের দারুচিনি বা স্বপ্নের দ্বীপ। প্রায় দশ হাজার অধিবাসী নিয়ে এ দ্বীপ যা একটি ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন। স্বপ্নের এ প্রবাল দ্বীপে যেতে যেতে অপুর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন এ যেতে আপনাকে অবশ্যই জাহাজে বা লঞ্চে ভ্রমণ করতেই হবে। সকাল ৯-৩০ টায় টেকনাফ জেটি ঘাট থেকে বেসরকারী শিপে চেপে প্রমত্তা নাফ নদী ও নীল জলরাশির সাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ খুবই রোমাঞ্চকর-সাথে উপভোগ্যও। জাহাজে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা আর লঞ্চে যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা। জাহাজগূলো বিকাল ৩ টায় সেন্টমার্টিন উপকুল ছেড়ে আসে টেকনাফের উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভক্তকারী নাফ নদীতে কিছুক্ষন ভ্রমন করতে হবে। যেতে যেতে বাংলাদেশের লেজ দেখতে খুবই মনোরম। পাহাড় সমৃদ্ধ এ লেজ দেখলে বাংলাদেশের মানচিত্রের দক্ষিনের লম্বা লেজের কথা মনে পড়বে।জাহাজ থেকে ছবির মতো, রুপকথার মতো, চমতকার অনুভূতি। তারপর সাগর চ্যানেলে প্রবেশ। জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, গাংচিল বা বালিহাঁসের উড়াউড়ি আর নীল জলরাশি আপনাকে বিমোহিত করবেই।যাওয়ার পথে বামদিকের বা পুর্ব পাশের মিয়ানমারের পাহাড় বিশিষ্ট স্থলভাগ আর কাঁটাতারের বেড়া অন্যরকম দৃষ্টিসুখ দেবে।নাফ’র ঘোলা পানি পেরিয়ে সাগরের নীলজলরাশি আপনাকে স্বপ্নের জগতে নিয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে সাগরজলে ডলফিনের খেলার সাথে জাহাজযাত্রীর হাততালি ভ্রমনক্লান্তি আর খরচের কথা ভুলিয়ে দেবে বলে আমার বিস্বাস। দু’ঘন্টা জাহাজ ভ্রমনের পর আবছা আবছা দ্বীপের ছবি ভেসে আসবে-রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দিবে। এ বুঝি স্বপ্নের দ্বীপের ছবি।হ্যাঁ এটাই সেন্টমার্টিন-স্বপ্নের দ্বীপ।
জাহাজে ধাক্কা লাগা বড় বড় ঢেউ আর প্রোপালারের ফেনিল সাদা ঢেউ দেখতে দেখতে(সকাল ৯ঃ০০ হতে ১০ঃ০০টা নাগাদ রওয়ানা হলে) অবশেষে দুঃ ১২-১৫ টায় পৌঁছাতে হবে ‘নারিকেল জিনজিরা’ দ্বীপে। অন্যান্য সৈ্কতে পানির ঘোলা স্রোত হলেও এ দ্বীপের চারিদিকে নীল স্বচ্ছ জলরাশি। লবনাক্ত সাগরের এ পানিতে পা ভিজাতে ভালোই লাগবে। দারুচিনি দ্বীপে হুমায়ুন আহমদের ‘সমুদ্র বিলাস’ কটেজ রয়েছে- যা সংরক্ষিত। এ দ্বীপে প্রচুর পরিমানে আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে, ভিন্ন মান,ভিন্ন ভাড়ায়। প্রচুর নারিকেল গাছ এ দ্বীপকে বিশিষ্ট করে তুলেছে-করেছে মোহনীয়।স্কুল,উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এখানে। পর্যটকদের জন্য প্রচুর আবাসিক হোটেল ছাড়াও কেনাকাটার প্রায় সব রকমের দোকান রয়েছে।তবে বাজার মুল্য তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি। রিক্সা/ভ্যানে চড়ে ছোট্ট এ দ্বীপটাকে ঘুরে দেখা যায় অনায়সে। সাথে রাত যাপন আনন্দকে দ্বিগুন করবে। সেন্টমার্টিন থেকে স্পিড বোট বা লঞ্চে ছেড়াঁ দ্বীপ বা শাহপরীর দ্বীপ ভ্রমন চিত্তাকর্ষক হবে। মৎস্য আহরণ/বিক্রি এ দ্বীপের অধিবাসীদের বেশির ভাগই পেশা।
এ দ্বীপে বা টেকনাফ অথবা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বিভিন্ন মান/দামের আবাসিক হোটেল রয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম/কক্সবাজার পরিবহন গাড়ীতে তারপর টেকনাফ।অথবা ঢাকা-টেকনাফ সরাসরি বাসে।তারপর জাহাজে সাগর পেরিয়ে সেন্টমার্টিন। শ্যামলি,সৌদিয়া,হানিফ,এস আলম প্রভৃতি পরিবহনে যেতে পারেন ভাড়া লাগবে এসি ১৫০০/= আর নন এসি ১০০০/=। ট্রেনেও চিটাগং যেতে পারেন তারপর বাসে।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন এ যেতে আপনাকে অবশ্যই জাহাজে বা লঞ্চে ভ্রমণ করতেই হবে। সকাল ৯-৩০ টায় টেকনাফ জেটি ঘাট থেকে বেসরকারী শিপে চেপে প্রমত্তা নাফ নদী ও নীল জলরাশির সাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ খুবই রোমাঞ্চকর-সাথে উপভোগ্যও। জাহাজে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা আর লঞ্চে যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা। জাহাজগূলো বিকাল ৩ টায় সেন্টমার্টিন উপকুল ছেড়ে আসে টেকনাফের উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভক্তকারী নাফ নদীতে কিছুক্ষন ভ্রমন করতে হবে। যেতে যেতে বাংলাদেশের লেজ দেখতে খুবই মনোরম। পাহাড় সমৃদ্ধ এ লেজ দেখলে বাংলাদেশের মানচিত্রের দক্ষিনের লম্বা লেজের কথা মনে পড়বে।জাহাজ থেকে ছবির মতো, রুপকথার মতো, চমতকার অনুভূতি। তারপর সাগর চ্যানেলে প্রবেশ। জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, গাংচিল বা বালিহাঁসের উড়াউড়ি আর নীল জলরাশি আপনাকে বিমোহিত করবেই।যাওয়ার পথে বামদিকের বা পুর্ব পাশের মিয়ানমারের পাহাড় বিশিষ্ট স্থলভাগ আর কাঁটাতারের বেড়া অন্যরকম দৃষ্টিসুখ দেবে।নাফ’র ঘোলা পানি পেরিয়ে সাগরের নীলজলরাশি আপনাকে স্বপ্নের জগতে নিয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে সাগরজলে ডলফিনের খেলার সাথে জাহাজযাত্রীর হাততালি ভ্রমনক্লান্তি আর খরচের কথা ভুলিয়ে দেবে বলে আমার বিস্বাস। দু’ঘন্টা জাহাজ ভ্রমনের পর আবছা আবছা দ্বীপের ছবি ভেসে আসবে-রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দিবে। এ বুঝি স্বপ্নের দ্বীপের ছবি।হ্যাঁ এটাই সেন্টমার্টিন-স্বপ্নের দ্বীপ।
জাহাজে ধাক্কা লাগা বড় বড় ঢেউ আর প্রোপালারের ফেনিল সাদা ঢেউ দেখতে দেখতে(সকাল ৯ঃ০০ হতে ১০ঃ০০টা নাগাদ রওয়ানা হলে) অবশেষে দুঃ ১২-১৫ টায় পৌঁছাতে হবে ‘নারিকেল জিনজিরা’ দ্বীপে। অন্যান্য সৈ্কতে পানির ঘোলা স্রোত হলেও এ দ্বীপের চারিদিকে নীল স্বচ্ছ জলরাশি। লবনাক্ত সাগরের এ পানিতে পা ভিজাতে ভালোই লাগবে। দারুচিনি দ্বীপে হুমায়ুন আহমদের ‘সমুদ্র বিলাস’ কটেজ রয়েছে- যা সংরক্ষিত। এ দ্বীপে প্রচুর পরিমানে আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে, ভিন্ন মান,ভিন্ন ভাড়ায়। প্রচুর নারিকেল গাছ এ দ্বীপকে বিশিষ্ট করে তুলেছে-করেছে মোহনীয়।স্কুল,উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এখানে। পর্যটকদের জন্য প্রচুর আবাসিক হোটেল ছাড়াও কেনাকাটার প্রায় সব রকমের দোকান রয়েছে।তবে বাজার মুল্য তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি। রিক্সা/ভ্যানে চড়ে ছোট্ট এ দ্বীপটাকে ঘুরে দেখা যায় অনায়সে। সাথে রাত যাপন আনন্দকে দ্বিগুন করবে। সেন্টমার্টিন থেকে স্পিড বোট বা লঞ্চে ছেড়াঁ দ্বীপ বা শাহপরীর দ্বীপ ভ্রমন চিত্তাকর্ষক হবে। মৎস্য আহরণ/বিক্রি এ দ্বীপের অধিবাসীদের বেশির ভাগই পেশা।
এ দ্বীপে বা টেকনাফ অথবা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বিভিন্ন মান/দামের আবাসিক হোটেল রয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম/কক্সবাজার পরিবহন গাড়ীতে তারপর টেকনাফ।অথবা ঢাকা-টেকনাফ সরাসরি বাসে।তারপর জাহাজে সাগর পেরিয়ে সেন্টমার্টিন। শ্যামলি,সৌদিয়া,হানিফ,এস আলম প্রভৃতি পরিবহনে যেতে পারেন ভাড়া লাগবে এসি ১৫০০/= আর নন এসি ১০০০/=। ট্রেনেও চিটাগং যেতে পারেন তারপর বাসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন