বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি উতমাছড়া,সিলেট।

  



পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণের বিচরণ । পাহাড়ের বুক চিড়ে চলেছে শীতল স্বচ্ছ জলরাশি আর সাদা জলরাশির ফাকে ফাকে পাথর ছড়ানো সর্বত্র । আকাশে নীল রঙের ছায়া পরেছে জমিনে।
এই বিবরণটি মিলে যাচ্ছে সিলেটের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দির সঙ্গে! কিন্তু না, বিছনাকান্দির মতই আরেকটি জায়গার বর্ণনা এটি আর তা হচ্ছে উতমাছড়ার বর্ণনা। যে স্থানকে সিলেটের নতুন ‘বিছনাকান্দি’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মধ্যে উতমাছড়ার আরেক ভূবন যেখানে ভ্রমণে নিজের সাথে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া একই কথা । উতমাছড়া সিলেটে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে অবস্থান।
রূপ-লাবণ্যে যৌবনা উতমাছড়া পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছে সম্মোহনী সৌন্দর্য্য। যান্ত্রিক কোলাহল থেকে মুক্ত নির্জন অরণ্যের সাহচার্য পেতে উতমাছড়ার বিকল্প নেই। আছে সবুজের সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত সাদা মেঘের খেলা, পাথর ছড়ানো চারপাশ, দুধসাদা জলরাশি, পাখিদের কলতানযে যা দেখে শহরের যান্ত্রিক মানুষগুলো পরোতে পড়োতে নুতন কিছু আবিষ্কার করতে পারবে ।
বর্ষাকালে উতমাছড়ার রূপলাবন্যে অবালিল ভাবে ফূটে ওঠে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি । অন্যান্য মৌসুমে উতমাছড়াকে মরুভূমির বুকে গজিয়ে ওঠা উদ্যানের মতো মনে হয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থা: সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সরাসরি সিএনজি অটোরিকশাযোগে যেতে হবে ৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী দয়ারবাজারে । সড়কের অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় এ পরিমাণ সড়ক পাড়ি দিতে গুণতে হবে জনপ্রতি ১৫০-১৮০ টাকা করে।
দয়ারবাজার থেকে আবার সিএনজি অটোরিকশাযোগে আট কিলোমিটার দূরবর্তী চড়ারবাজারে যেতে হয়। এজন্য জনপ্রতি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা পড়বে। চড়ারবাজার থেকে ১৫ মিনিটের মতো হাঁটলেই পেয়ে যাবেন উতমাছড়ার দেখা ।    


ধন্যবাদ সবাইকে। 



মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

হাজাছড়া ঝরণা, খাগড়াছড়ি।





খাগড়াছড়ির সাজেক পৌঁছে সেখানকার ঘরবাড়ি, হেলিপ্যাড, মানুষজন, নৃগোষ্ঠীর জীবনযাপন, আর নিসর্গের প্রবল রূপ দেখে মুগ্ধ হতেই হবে।  সামনে তাকাতেই দেখা যাবে চোখজুড়ানো সবুজ জুম। অনেক দূরে পাহাড়ের গায়ে আটকানো ছোট ছোট ঘরবাড়ি। সে দৃশ্যই যেন টেনে নিয়ে যাবে আপনাকে হাজাছড়ার দিকে।
য়াসছে শীতে বেড়িয়ে পড়ুন ভ্রমণে হাজাছড়া ঝরণায়। পাহাড়ঘেরা সবুজ বনপথ ধরে এগিয়ে যেতে যেতে বাংলার প্রাকৃতিক রূপ ঊপভোগ করবেন দু চোখ দিয়ে। পথ চলার সঙ্গে ক্যামেরা বন্ধি করুন আর কিছু ভিডিও ফুটেজও নিতে পারেন।পথ চলতে চলতে একসময় পৌঁছে যাবেন বাঘাইহাটের কাছে হাজাছড়া। পথের পাশেই ছোট্ট করে লেখা শুকনাছড়া ঝরনা। এলাকার নাম হাজাছড়া তাই ঝরনার নামও লোকমুখে হাজাছড়া হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে দেখা যায় পাহাড়িরা বসে দাবা টানছেন। এখানে জেনে রাখা দরকার দাবা হচ্ছে হুকোর পাহাড়ি রূপ। লম্বা বাঁশের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে বাঁশে মুখ লাগিয়ে দম দিলেই ধোঁয়া বের হচ্ছে।
হাজাছড়া ঝরনাটি মোটামুটি খুব পরিচিত আর জনপ্রিয়। পথের ধারে এমন একটি চমৎকার ঝরনা জনপ্রিয় না হয়ে পারে না। কারণ অবশ্য আছে। এবার সবুজ জংলার পথ। পথের সৌন্দর্য এককথায় অসাধারণ। দুপাশেই বন কেওড়ার মেলার সঙ্গে নাম না জানা গাছ মিলে এক অনবদ্য শোভার দেখা পাবেন।  চারদিক কী অসাধারণ সবুজ, দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। এমন সবুজকে সঙ্গী করে ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে চলতে হবে, আঁকাবাঁকা পথে।  ছায়াঘেরা সে ঝিরিপথ পেরিয়েই শুনতে পাবেন ঝরনার পানির শব্দ। সঙ্গে গায়ে ছুটে আসবে পানির ঝাঁপটা।     


জরুরী বিষয় :
হাজাছড়া ঝরনা খাগড়াছড়ির বাঘাইহাটের হাজাছড়ায় অবস্থিত। অবশ্য হাজাছড়া পৌঁছালে সাইনবোর্ডে লেখা পাবেন শুকনাছড়া। শুকনাছড়াই হাজাছড়া। এ ঝরনা দেখতে হলে আপনাকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। খাগড়াছড়ি নেমে মোটরসাইকেল, চান্দের গাড়িতে কিংবা দলবেঁধে গেলে নিজস্ব পরিবহনে চলে আসুন বাঘাইহাটের হাজাছড়া। হাজাছড়া গেলে সাজেক ঘুরে আসতে ভুল করবেন না। সবচেয়ে ভালো সাজেক হয়ে তারপর চলে আসুন হাজাছড়া ঝরনার কাছে।

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

সিলেট :: বিছনাকান্দি।

প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি বিছনাকান্দি। 







বিছনাকান্দি : সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রস্তমপুর ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা পর্যটন কেন্দ্র। পাথর বিছানো বিস্তীর্ণ প্রান্তরের ওপর বয়ে চলা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি ঝরনা বিছনাকান্দির মূল আকর্ষণ। জাফলংয়ের সাথে বিছনাকান্দির অনেকটাই মিল আছে। আকাশছোঁয়া পাহাড়ের কোলে এ যেন প্রকৃতির এক স্বর্গীয় বিছানা। বর্তমানে সিলেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র এটি। 




সিলেট শহর থেকে অটোরিকশায় চড়ে যেতে হবে হাদারপাড় পোস্ট অফিস ঘাট। সেখান থেকে পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির ওপর নৌকায় চড়ে চলতে চলতে একসময় চোখে পড়বে মেঘালয়ের আকাশছোঁয়া পাহাড়। বর্ষায় পিয়াইন নদী পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে। তবে শীতে পানি শুকিয়ে যায়। তখন হেঁটেই পার হওয়া যায়। শহরের কর্ম‍ ব্যস্ততাকে পিছনে ফেলে প্রতিদিনের রুটিন চাপ থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃতির কোলে একটু শান্তি পেতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বিছনাকান্দি। যার কোনো বিকল্প নেই। বিস্তীর্ণ আকাশ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঝরনা অন্য রকম এক শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে আপনার হৃদয়ে।    



(ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক বিছানা "বিছনাকান্দি" হতে, অবশ্যই ভালো লাগবে, ধন্যবাদ সবাইকে।)







শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

বেড়াতে আসুনঃ ঢাকার আর্মে‍নিয়ান চার্চে‍।

আমাদের ঐতিহ্য: আর্মেনিয়ান চার্চ ।  




ঢাকার যে সব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে আর্মেনিয়ান গির্জা তাদের মধ্যে অন্যতম। পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আর্মেনিয়ান গির্জাটি ‘আর্মেনিয়ান চার্চ’(Armenian Church) নামে পরিচিত। এটি নির্মিত হয় ১৭৯১ সালে। গির্জা নির্মাণের আগে তাদের ছোট একটি উপাসনাগার ছিল। ঐতিহ্যবাহী এই গির্জার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাকার আর্মেনীয়দের ইতিহাস। 
আর্মেনিয়ান চার্চ বা গির্জাটি আর সব গির্জা থেকে আলাদা। প্রতিটি গির্জার কবর বা সমাধিস্থল আলাদা কিন্তু আর্মেনিয়ান গির্জা পুরোটাই যেন সমাধিস্থল। আর সেসব সমাধি দামি মার্বেল পাথর দিয়ে গড়া। এখন যে জায়গায় গির্জাটি দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে ১৭৮১ সালে ছিল আর্মেনীয়দের সমাধিস্থল।
দুইশত বছরের পুরানো এই ঐতিহ্যময় গীর্জাটির রক্ষণাবেক্ষণ এখনো অবশিষ্ট আর্মেনীয় পরিবারই করে থাকেন।
লোকশ্রুতি অনুযায়ী গীর্জাটি নির্মাণে সাহায্য করেছিলেন চারজন আর্মেনীয়। এরা হলেন মাইকেল সার্কিস, অকোটাভাটা সেতুর সিভর্গ, আগা এমনিয়াস এবং মার্কার পোগজ।



ভৌগোলিকভাবে আর্মেনিয়ার অবস্থান দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে। রাজধানীর নাম ইরেভান। আর্মেনিয়ার মাঝখানে অবস্থিত একটা হ্রদ; নাম সেভান। 
আর্মেনীয়রা কবে ঢাকায় এসেছিলেন তা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় মুঘল আমলে ভাগ্য বদলাতে দেশ-বিদেশ থেকে যখন অনেকেই আসতে শুরু করেন; সম্ভাব্য সপ্তদশ শতকে আর্মেনীয়রাও তখন দু’একজন করে ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করেন এ অঞ্চলে। সেই থেকে এই অঞ্চল আরমানিটোলা নামে পরিচিত। 
উনিশ শতকের ঢাকায় পরিচিত ও প্রভাবশালী পরিবার হিসেবে যে ক’টি আর্মেনীয় পরিবারের নাম পাওয়া যায় সেগুলো হলো- পোগস, আরাতুন, পানিয়াটি, স্টিফান, লুকাস, কোজা মাইকেল, মানুক, হার্নি, সিরকোর এবং সার্কিস।
অষ্টাদশ ও উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অতিক্ষুদ্র একটি সম্প্রদায় হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা শহরে আর্মেনীয়রা ছিলো যথেষ্ট প্রভাবশালী। এর কারণ, তাদের ছিলো বিত্ত। অষ্টাদশ শতকে লবণ ছিলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসা। লবণ উৎপাদন ও বিতরণের জন্য কোম্পানি ঠিকাদার নিয়োগ করতো। পূর্ববঙ্গে লবণের ঠিকাদারদের অধিকাংশই ছিলেন আর্মেনীয়রা। ঠিকাদারি ছাড়াও পান, পাট ও কাপড়ের ব্যবসায় ছিলো তাদের কর্তৃত্ব। জমিদারীও ছিলো অনেকের।
এদের বিত্তের ভিত্তি ছিলো জমিদারি ও ব্যবসা। বিদেশি হয়েও জমিদারি কেনার কারণ হতে পারে- আভিজাত্য অর্জন এবং সমাজের শীর্ষে থাকা। এসব ধনী আর্মেনীয়ানরা ঢাকায় নিজেদের থাকার জন্য তৈরি করেছিলেন প্রাসাদতুল্য সব বাড়ি। যেমন ফরাসগঞ্জের বর্তমান রূপলাল হাউস ছিলো আরাতুনের। মানুক থাকতেন সদরঘাটে। বর্তমানে ‘বাফা’ যে বাড়িতে, সেটি ছিলো নিকি পোগজের। পরে আরমানিটোলায় নির্মিত হয়েছিলো ‘নিকি সাহেবের কুঠি’। আনন্দরায় স্ট্রিটে ছিলো স্টিফানের বাড়ি। তাজমহল সিনেমা যেখানে রয়েছে সেখানে ছিলো পানিয়াটির অট্টালিকা। উনিশ শতকের মাঝামাঝি অনেক আর্মেনীয় ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েন। ব্যবসাগুলো হচ্ছে চা, মদ, ইউরোপীয় জিনিসপত্র, ব্যাংক ইত্যাদি। ১৮৫৬ সালে সিরকোরই ঢাকায় প্রথম ঘোড়ার গাড়ি চালু করেন, যা পরিচিত ছিলো ‘ঠিকা গাড়ি’ নামে। কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যবসা বেশ জমে উঠে এবং কালক্রমে তাই হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ঢাকার প্রধান যানবাহন। 
ব্রিটিশ শাসনামলের শুরুর দিক থেকেই ঢাকায় আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে ঢাকায় আঠারোটি আর্মেনীয় বংশদ্ভূত পরিবার রয়েছে বলে শোনা যায়। তবে কখনই ঢাকায় আর্মেনীয়দের সংখ্যা খুব একটা বেশি ছিলো না।



গীর্জাটি লম্বায় সাড়ে সাতশো ফুট, দরজা চারটি, জানালা সাতটি। এর পাশেই ছিলো একটি ঘড়িঘর। এটি নির্মাণ করে দিয়েছিলেন জোহান্স কারু পিয়েত সার্কিস। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ঘড়িঘরটি ভেঙে গিয়েছিলো বলে জানা যায়। গীর্জায় বৃহৎ আকারের একটি ঘণ্টা ছিলো। ১৮৮০ সালের দিকে আর্মেনিয়ান গীর্জার এই বিখ্যাত ঘণ্টাটি স্তব্ধ হয়ে যায়, যা আর কখনো বাজেনি। এই ঘণ্টা বাজার শব্দ নগরের প্রায় সব স্থান থেকে সবাই শুনতে পেত বলে সাক্ষ্য পাওয়া যায়। এই ঘণ্টার শব্দ শুনেই নাকি অধিকাংশ ঢাকাবাসী নিজ নিজ সময়ঘড়ি ঠিক করে নিতেন। মৃত্যুর পর ঢাকার আর্মেনীয়দের কবর দেয়া হতো আর্মেনীয় গীর্জার প্রাঙ্গণে। প্রাঙ্গণের পরিসর ছোট হওয়ার কারণে গীর্জাটির গোটা প্রাঙ্গণ এমনকি বারান্দার মেঝেতেও প্রচুর সমাধিফলক চোখে পড়ে। অধিকাংশ স্মৃতিফলকে উদ্ধৃত রয়েছে ধর্মগ্রন্থের বাণী। 
পুরো চার্চ ঘিরে আছে কবর আর কবর। সবগুলো কবরই শ্বেতপাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান পাথর দিয়ে বাঁধাই করা। তাছাড়া মৃত ব্যক্তির নামসহ ফুল-পাখির বিভিন্ন নকশা করা এবং আবেগ ঢেলে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে প্রতিটি কবরের গায়ে কাব্যময় কিছু লেখা ।  

কীভাবে যেতে হবে?  
রাজধানী ঢাকার যে-কোন স্থান হতে প্রাইভেট গাড়ি, রিকশা বা সি এন জি তে করে পুরানো ঢাকার আর্মা‍নিটোলাতে আসা যাবে। 

=================







শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫

কলাকোপার জমিদারবাড়ি।

কলাকোপার জমিদারবাড়ি।





রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপায় অবস্থিত জমিদারবাড়ি। প্রাচীন স্থাপত্যে নির্মিত বাড়িটি দেখার জন্য ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন কলাকোপার এই জমিদার বাড়িতে। 

১৮০০ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন জমিদার ব্রজেন রায় ব্রজ নিকেতন নামে সুদর্শন একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। 
সেই সময় জমিদারবাড়িটির পরিচিতি ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চীনামাটি ও মূল্যবান বিভিন্ন পাথরের কারুকার্যে নির্মিত বাড়িটি দেখতে খুবই চমৎকার। পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলাকোপার জমিদারবাড়িটি দেখার জন্য দর্শনার্থীরা আসেন। সুবিশাল এই বাড়িটি প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। জানা যায়, দেশ বিভাগের পর ব্রজেন রায়ের শেষ বংশধর মধুসূদন রায় বাড়িটি ছেড়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে জমিদার বংশের কোনো লোকজন আর এই বাড়িতে বসবাস করে না। বর্তমানে জমিদার বাড়িটি স্থানীয় এক ব্যক্তি দেখাশোনা করছেন। 

যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন কলাকোপার জমিদারবাড়িটি। 


যাতায়াত ব্যবস্থাঃ 

ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে যেতে হবে কলাকোপায়। ঢাকা- বান্দুরা সড়কের সাথেই অবস্থিত বাড়িটি।

গুলিস্তান থেকে কলাকোপা যেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বাসভাড়া মাত্র ৫০ টাকা।  



                                         ++++++++++