মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

হাজাছড়া ঝরণা, খাগড়াছড়ি।





খাগড়াছড়ির সাজেক পৌঁছে সেখানকার ঘরবাড়ি, হেলিপ্যাড, মানুষজন, নৃগোষ্ঠীর জীবনযাপন, আর নিসর্গের প্রবল রূপ দেখে মুগ্ধ হতেই হবে।  সামনে তাকাতেই দেখা যাবে চোখজুড়ানো সবুজ জুম। অনেক দূরে পাহাড়ের গায়ে আটকানো ছোট ছোট ঘরবাড়ি। সে দৃশ্যই যেন টেনে নিয়ে যাবে আপনাকে হাজাছড়ার দিকে।
য়াসছে শীতে বেড়িয়ে পড়ুন ভ্রমণে হাজাছড়া ঝরণায়। পাহাড়ঘেরা সবুজ বনপথ ধরে এগিয়ে যেতে যেতে বাংলার প্রাকৃতিক রূপ ঊপভোগ করবেন দু চোখ দিয়ে। পথ চলার সঙ্গে ক্যামেরা বন্ধি করুন আর কিছু ভিডিও ফুটেজও নিতে পারেন।পথ চলতে চলতে একসময় পৌঁছে যাবেন বাঘাইহাটের কাছে হাজাছড়া। পথের পাশেই ছোট্ট করে লেখা শুকনাছড়া ঝরনা। এলাকার নাম হাজাছড়া তাই ঝরনার নামও লোকমুখে হাজাছড়া হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে দেখা যায় পাহাড়িরা বসে দাবা টানছেন। এখানে জেনে রাখা দরকার দাবা হচ্ছে হুকোর পাহাড়ি রূপ। লম্বা বাঁশের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে বাঁশে মুখ লাগিয়ে দম দিলেই ধোঁয়া বের হচ্ছে।
হাজাছড়া ঝরনাটি মোটামুটি খুব পরিচিত আর জনপ্রিয়। পথের ধারে এমন একটি চমৎকার ঝরনা জনপ্রিয় না হয়ে পারে না। কারণ অবশ্য আছে। এবার সবুজ জংলার পথ। পথের সৌন্দর্য এককথায় অসাধারণ। দুপাশেই বন কেওড়ার মেলার সঙ্গে নাম না জানা গাছ মিলে এক অনবদ্য শোভার দেখা পাবেন।  চারদিক কী অসাধারণ সবুজ, দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। এমন সবুজকে সঙ্গী করে ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে চলতে হবে, আঁকাবাঁকা পথে।  ছায়াঘেরা সে ঝিরিপথ পেরিয়েই শুনতে পাবেন ঝরনার পানির শব্দ। সঙ্গে গায়ে ছুটে আসবে পানির ঝাঁপটা।     


জরুরী বিষয় :
হাজাছড়া ঝরনা খাগড়াছড়ির বাঘাইহাটের হাজাছড়ায় অবস্থিত। অবশ্য হাজাছড়া পৌঁছালে সাইনবোর্ডে লেখা পাবেন শুকনাছড়া। শুকনাছড়াই হাজাছড়া। এ ঝরনা দেখতে হলে আপনাকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। খাগড়াছড়ি নেমে মোটরসাইকেল, চান্দের গাড়িতে কিংবা দলবেঁধে গেলে নিজস্ব পরিবহনে চলে আসুন বাঘাইহাটের হাজাছড়া। হাজাছড়া গেলে সাজেক ঘুরে আসতে ভুল করবেন না। সবচেয়ে ভালো সাজেক হয়ে তারপর চলে আসুন হাজাছড়া ঝরনার কাছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন