গন্তব্য তৈঙ্গা পাহাড়
ভ্রমণের সেরা সময় : অক্টোবর মাস থেকে ফেব্র“য়ারি মাস অবধি এই এলাকা ভ্রমণের সেরা সময়। মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ের গাছগাছালি মারা যাওয়ায় সব ন্যাড়া হয়ে যায় এবং ঝিরির পানি ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হতে থাকে। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটক জুন-জুলাই মাসের সবুজ পাহাড়, সতেজ ঝিরি-ঝরণা দেখে আসতে পারেন।
যাতায়াত : ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমান অথবা বাসে। সেখান থেকে ননস্টপ টেকনাফগামী বাসে হ্নীলা বাজার। হ্নীলা বাজার থেকে তৈঙ্গা পাহাড় অভিমুখে ট্রেকিং। এসি বাস : ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে যোগাযোগ করতে পারেন গ্রিনলাইন (৯৩৩৯৬২৩, ৯৩৪২৫৮০) সোহাগ পরিবহন (ফোন ৯৩৩১৬০০, ৭১০০৪২২), সিল্ক লাইন (ফোন ৭১০২৪৬১, ৮১০৩৮২) ভাড়া ৬৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা। নন এসি বাস : নন এসি বাসে যেতে যোগাযোগ করতে পারেন এস. আলম (ফোন ৯৩৩১৮৬৪, ৮৩১৫০৮৭)
আবাসন : ধারের কাছে হ্নীলা বাজার সাধারণ মানের হোটেল। ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা প্রতি রাত। টেকনাফ শহরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ভাড়া ৫০০-১২৫০ টাকা। এছাড়া টেকনাফ শহরে সাধারণ মানের একাধিক হোটেল পাওয়া যাবে ২৫০-৫০০ টাকার মধ্যে।
গাইড : তৈঙ্গা পাহাড় ভ্রমণের সময় প্রশিক্ষিত গাইড সঙ্গে নেয়া আবশ্যক। নৈসর্গ সাপোর্ট প্রজেক্ট এই এলাকায় ইকোট্যুরিজম ইনফ্রোসট্রাকচার নির্জনে কাজ করে চলেছে। হ্নীলা বাজারের কাছে কক্সবাজার-টেকনাফ রোডের পাশে নিসর্গ অফিসে গাইডের খোঁজ করা যেতে পারে।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন : ফোন ৯৮৭৩২২৯
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা টেকনাফের অন্তর্গত সংরক্ষিত বন টেকনাফ গেম রিজার্ভ। কক্সবাজার থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং টেকনাফ থেকে উত্তর দিকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই গেম রিজার্ভের অবস্থান। সংরক্ষিত এ বনের ভূ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এককথায় অনন্য। সবুজ এ পাহাড়ি অঞ্চলে ভঙ্গিল পর্বতের নমুনা, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক ঝরণা, উষ্ণমণ্ডলীয় চিরসবুজ বন পর্যটকদের রোমাঞ্চের বহুবিধ স্বাদ উপভোগের সুযোগ করে দেবে। এই গেম রিজার্ভের মধ্যবর্তী স্থানে লম্বা ও সরু পাহাড়ের শ্রেণী দক্ষিণ দিক থেকে উত্তরে বিস্তৃৃত। গেম রিজার্ভের সর্বোচ্চ চূড়া ‘তৈঙ্গা’ নামে পরিচিত। তৈঙ্গা পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০০ ফুট। ১৯৮৩ সালে এই সংরক্ষিত গেম রিজার্ভ ঘোষিত হয়। এই গেম রিজার্ভের আয়তন ১১,৬১৫ হেক্টর।
জীববৈচিত্র্য : এই গেম রিজার্ভ দেশের সর্বোচ্চ জীববৈচিত্র্যপূর্ণ। এখানে প্রায় ৩০০ প্রজাতির বৃক্ষরাজি, ২৮৬ প্রজাতির পাখি, ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৩ প্রজাতির উভচর, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ পাওয়া গেছে। বুনোহাতির সবচেয়ে বড় দলটি এই গেম রিজার্ভে অবস্থান করে যা দেশের মোট হাতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া বনে বিলুপ্তপ্রায় বুনোকুকুর, উল্লুক, সাম্বার হরিণ, উডুক্ক– কাঠবিড়ালী, সজারু প্রভৃতি প্রাণীর দেখা মেলে। ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগ পরিচালিত জরিপে দুর্লভ প্রজাতির স্ট্যাম্প টেইলড্ ম্যাকাক বা খাটো লেজি বান্দর দেখার রেকর্ড রয়েছে।
কুঠি বা ভঙ্গিল পাহাড় : বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে এই পাহাড় শ্রেণী বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ছিল। লাখ লাখ বছরের বিবর্তনের ফল বর্তমানের এই অবস্থা। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এই কুঠির শিলাস্তরে শামুক-ঝিনুকের জীবাশ্ম বা ফসিল এবং সল্টক্রিক বা লবণাধার। কুঠির সল্টক্রিক বুনো প্রাণীর লবণের অভাব মেটায়। রাতে বুনোপ্রাণী সল্টক্রিক চেটে শরীরে লবণের চাহিদা পূরণ করে।
তৈঙ্গা ঝিরি : কুঠির আনুমানিক ২০০ ফুট পশ্চিমে প্রবাহিত তৈঙ্গা ঝিরি। ঝিরির পানি স্ফটিক স্বচ্ছ এবং জলজপ্রাণী বৈচিত্র্যে ভরপুর। প্রায় ৭০০ ফুট উচ্চতা থেকে শিলাময় পাহাড়ের ধাপে ধাপে এই ঝরণা ক্রমান্বয়ে ঝিরি ধরে প্রবাহিত হয়েছে।
তৈঙ্গা চূড়া : গেম রিজার্ভের অন্যতম আকর্ষণ হল তৈঙ্গা চূড়া। এ চূড়া অত্যন্ত খাড়া এবং ট্রেকারদের জন্য আদর্শ। তৈঙ্গা চূড়া থেকে দূরে বঙ্গোপসাগর, নাফ নদী, মিয়ানমার সীমানার পাহাড় শ্রেণী এবং গেম রিজার্ভের এরিয়েল ভিউ অবলোকন বাস্তবেই এক অপার্থিব অনুভূতি।
তৈঙ্গা চূড়া : গেম রিজার্ভের অন্যতম আকর্ষণ হল তৈঙ্গা চূড়া। এ চূড়া অত্যন্ত খাড়া এবং ট্রেকারদের জন্য আদর্শ। তৈঙ্গা চূড়া থেকে দূরে বঙ্গোপসাগর, নাফ নদী, মিয়ানমার সীমানার পাহাড় শ্রেণী এবং গেম রিজার্ভের এরিয়েল ভিউ অবলোকন বাস্তবেই এক অপার্থিব অনুভূতি।
ভ্রমণের সেরা সময় : অক্টোবর মাস থেকে ফেব্র“য়ারি মাস অবধি এই এলাকা ভ্রমণের সেরা সময়। মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ের গাছগাছালি মারা যাওয়ায় সব ন্যাড়া হয়ে যায় এবং ঝিরির পানি ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হতে থাকে। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটক জুন-জুলাই মাসের সবুজ পাহাড়, সতেজ ঝিরি-ঝরণা দেখে আসতে পারেন।
যাতায়াত : ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমান অথবা বাসে। সেখান থেকে ননস্টপ টেকনাফগামী বাসে হ্নীলা বাজার। হ্নীলা বাজার থেকে তৈঙ্গা পাহাড় অভিমুখে ট্রেকিং। এসি বাস : ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে যোগাযোগ করতে পারেন গ্রিনলাইন (৯৩৩৯৬২৩, ৯৩৪২৫৮০) সোহাগ পরিবহন (ফোন ৯৩৩১৬০০, ৭১০০৪২২), সিল্ক লাইন (ফোন ৭১০২৪৬১, ৮১০৩৮২) ভাড়া ৬৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা। নন এসি বাস : নন এসি বাসে যেতে যোগাযোগ করতে পারেন এস. আলম (ফোন ৯৩৩১৮৬৪, ৮৩১৫০৮৭)
আবাসন : ধারের কাছে হ্নীলা বাজার সাধারণ মানের হোটেল। ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা প্রতি রাত। টেকনাফ শহরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ভাড়া ৫০০-১২৫০ টাকা। এছাড়া টেকনাফ শহরে সাধারণ মানের একাধিক হোটেল পাওয়া যাবে ২৫০-৫০০ টাকার মধ্যে।
গাইড : তৈঙ্গা পাহাড় ভ্রমণের সময় প্রশিক্ষিত গাইড সঙ্গে নেয়া আবশ্যক। নৈসর্গ সাপোর্ট প্রজেক্ট এই এলাকায় ইকোট্যুরিজম ইনফ্রোসট্রাকচার নির্জনে কাজ করে চলেছে। হ্নীলা বাজারের কাছে কক্সবাজার-টেকনাফ রোডের পাশে নিসর্গ অফিসে গাইডের খোঁজ করা যেতে পারে।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন : ফোন ৯৮৭৩২২৯
ধন্যবাদ সবাইকে।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন