মাধবকুণ্ডের ঝরনা তলায়
মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড ঝরনা যে কোনও ভ্রমণপিপাসুর নজর কাড়বে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ পাহাড়ি ঝরনাধারা ও তার চারপাশের অপরূপ মনোলোভা সবুজ প্রকৃতি সব শ্রেণীর পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। গঙ্গাসাড়া নামক পাহাড়ি ছড়ার প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে যুগ যুগ ধরে গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম জলরাশি। দৃষ্টিনন্দন এ ঝরনা শুধু পর্যটকদের কাছেই আকর্ষণীয় স্থান নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে তীর্থস্থান হিসেবেও সুপরিচিত। এ ঝরনাধারায় যে কুণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে সে কুণ্ডের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে শিবমন্দির। হিন্দুমতে, এ শিবমন্দির স্থানটির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এ শিবমন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর চৈত্রের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে স্মানে আসে শত শত পুণ্যার্থী।
যেভাবে যাবেনঢাকা থেকে সরাসরি মাধবকুণ্ডে যাওয়ার কোনও ট্রান্সপোর্ট নেই। বাসে মৌলভীবাজার নেমে সেখান থেকে বড়লেখার গাড়িতে করে কাঁঠালতলী নামতে হবে। সেখান থেকে লোকজন কম হলে রিকশায় আর বেশি হলে স্কুটার ভাড়া করে মাধবকুণ্ডে পৌঁছাতে হবে। রিকশায় ভাড়া নেবে ৭০-৮০ টাকা আর স্কুটারে জনপ্রতি ৬০-৭০ টাকা। তবে যে বাহনই নেন না কেন ফেরার সময় ওই বাহনেই ফিরতে হবে। কেননা সেখানে অতিরিক্ত কোনও যানবাহন নেই। আর যদি ট্রেনে আসতে চান, তাহলে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেটের ট্রেনে কুলাউড়া জংশনে নামতে হবে। সেখান থেকে বড়লেখাগামী বাসে চড়ে কাঁঠালতলী আসতে হবে। অথবা রেলস্টেশন থেকে সরাসরি স্কুটার ভাড়া করেও যেতে পারেন।
থাকা-খাওয়া
কুলাউড়ায় রয়েছে কয়েকটি বিভিন্ন মানের হোটেল। ট্রেনে এসে এসব হোটেলে উঠতে পারেন। বাসে এলে মৌলভীবাজারের হোটেলে উঠতে হবে। কেননা কাঁঠালতলীতে তেমন কোনও ভালো মানের হোটেল নেই। এখানে খাবার-দাবার দামের দিক থেকে ঢাকার সাথে তেমন কোনও তারতম্য নেই। তবে মূল স্পটে যাওয়ার আগে বিস্কুট বা হালকা স্ম্যাক্স ও খাবার পানি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার জন্যও মূল স্পটের কাছেই কিছু হোটেল রয়েছে। দিনব্যাপী সেখানে থাকতে চাইলে এ হোটেলগুলো থেকে দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিতে পারেন। দামের দিক থেকে তেমন কোনও ঝামেলা নেই।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন